ডুয়ার্স: শীত পড়তেই শুরু হয়েছে ভালুকের (Bear) আগমন। তা নিয়ে চিন্তিত বনদফতর (Forest। কারণ খোঁজার পাশাপাশি রাজ্যে এই প্রথম ভালুক গণনা করতে চলেছে তারা। গত বছর প্রথম ভালুক দেখা যায় জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের ইংডং চা-বাগান এলাকায়। এরপর ডুয়ার্সের মালবাজার, মাদারিহাট, বক্সা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়।
গত বছরই ভালুকের আক্রমণে প্রাণ গিয়েছিল একজনের। সংঘাতে মৃত্যু হয়েছিল একটি ভালুকের। পাশাপাশি ভাল্লুকের আক্রমণে বেশ কিছু মানুষ ও আহত হয়েছেন। ডুয়ার্সের মালবাজার, ধূপগুড়ি, নাথুয়া এলাকায় দেখা মিলছে এই বন্যপ্রাণীটির। গতবছর বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধূপগুড়িতে সে ধরাও পড়েছে। ডুয়ার্সের বনাঞ্চল এবং বন সংলগ্ন এলাকা ছেড়ে ভালুকের আতঙ্ক পৌঁছে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি শহর এবং মালবাজার শহরেও। মাল শহরে ভালুক পৌঁছে গিয়েছিল একটি ভবনে যেখানে অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আরও পড়ুন: Weather Update: জেলায় জেলায় শীতের ব্যাটিং, শহরে কতটা নামল তাপমাত্রা?
দিন কয়েক আগেই মেটেলি, মালবাজার, মাদারিহাট সহ বেশ কয়েকটি চা-বাগানে দেখা মিলেছে তাদের। তার মধ্যে গত ১৫ দিনে ৬টি ভালুককে উদ্ধার করেছে বন দফতর। এর মধ্যে আটিয়াবাড়ি চা-বাগান থেকে একটি, লতাবাড়ি থেকে ৩টি, মেন্দাবাড়ি বনবস্তি থেকে দুটি। এর মধ্যে দুটি ভালুককে বেঙ্গল সাফারিতে রাখা হয়েছে। বাকি চারটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ডুয়ার্সের মালবাজারে এখনও বনকর্মীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে ভালুক। তাদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে গণনার সিন্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।
এর জন্য রবিবার থেকে মূর্তির টেন্ট ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রশিক্ষণ শিবিরের পর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই গণনা শুরু হবে বলে বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। গোটা ডুয়ার্সেই এই গণনা হবে। বিয়ার কোরাল পদ্ধতিতে এই গণনা করা হবে বলে জানা খবর। এই পদ্ধতিটি হল, যে সমস্ত জায়গায় ভালুক দেখা গেছে সেই জায়গাগুলিতে খাঁচা পাতা হবে এবং সেখানে ভালুকের পছন্দের খাবার দেওয়া হবে, সেই খাবার খেতে এলেই ধরা পড়বে তারা। তাতেই সংখ্যা জানা যাবে। সংখ্যা নির্ণয়ের পর অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবর।