সুন্দরবন: শনিবার রাতে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের (Sundarban Tiger Project) নেতিধোপানি ক্যাম্পের কাছে খুন হন বনকর্মী অমলেন্দু হালদার (Forest Worker Death)। রাতে টহল দেওয়ার সময় চোরাশিকারীদের হাতে খুন হন অমলেন্দু এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা।
জানা যাচ্ছে, মৃত অমলেন্দু দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর এলাকার বাসিন্দা। নেতিধোপানি বিট অফিসে তিনি কর্মরত ছিলেন। অমলেন্দুর মৃত্যুতে মৃত বনকর্মীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। চোরাশিকারী না অন্য কেউ এই খুনে জড়িত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বোমা বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য কাকদ্বীপে
বনদপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধে নাগাদ চোরাশিকারীদের মুখোমুখি হয় বনকর্মীদের স্পিডবোট। তারপর দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। অমলেন্দু নিখোঁজ ছিলেন। পরে জঙ্গলের মধ্যে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। মাথায় ও ঘাড়ে ধারাল অস্ত্রের কোপ ছিল।
মৃত বনকর্মীর আত্মীয়রা জানিয়েছে, গুলির লড়াই হলে কেন বাকিদের কিছু হল না? অমলেন্দু নিখোঁজ হল কী করে। রবিবার বেলা দশটায় মৃত বনকর্মীর বাড়িতে প্রথম মৃত্যু সংবাদ আসে। বাড়িতে স্ত্রী ও তিন মেয়ে আছে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল বছরখানেক। তার আগেই ডিউটিরত অবস্থায় এই মৃত্যুর প্রকৃত তদন্ত চাইছে পরিবার। সুন্দরবন উপকূল থানা (Sundarban Coastal PS) একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও খবর দেখুন