বহরমপুর: স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। কর্ণসুবর্ণ ব্লক হাসপাতালের ট্রিটমেন্ট সুপারভাইজার প্রদীপ পাল নামে ওই সাস্থ্যকর্মীকে ঘরে আটকে রাখে অভিযোগকারীরা।
অভিযোগ, ২০১৮ সালে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রদীপ কারও কাছে থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা আবার কারও কাছে ৬ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন। কলকাতায় ওই যুবকদের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া হয়। তিনমাস পর ওই যুবকেরা জানতে পারেন, তাঁদের চাকরি নেই। তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ওই চাকরির জন্য প্রদীপের এক আত্মীয় টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা ফেরত পেতে প্রদীপের দ্বারস্থ হন দীপক দাস। সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকার মধ্যে কিছু টাকা প্রদীপ তাঁকে ফেরত দিলেও বাকি টাকা আর ফেরত দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে আইএসএফের সভা করার পক্ষে আদালত
বুধবার বহরমপুর থেকে কর্ণসুবর্ণ হাসপাতালে ডিউটি করতে যাওয়ার পথে নিয়াল্লিশ পাড়া এলাকায় প্রদীপকে ঘিরে ধরে দীপক সহ তাঁর বন্ধুরা। পাওনা টাকার দাবিতে দীর্ঘক্ষণ একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয় তাঁকে। ওই ঘটনায় বহরমপুরের নিয়াল্লিশপাড়া এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে। খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ প্রদীপকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। যদিও প্রদীপের দাবি, তিনি তাঁর আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন মাত্র। তিনি নিজে হাতে টাকা নেননি। তবে কলকাতায় টাকা দেওয়ার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। ওই গ্রুপ ডি চাকরি ভুয়ো জানতে পেরে লালবাজারে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ বলে জানিয়েছে প্রদীপ।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: