কলকাতা: যে শহর গতকাল পর্যন্তও মেতেছিল উৎসবের আনন্দে। আজ সকাল থেকেই সেই শহরবাসীর চোখে জল। কারণ আজ বিচ্ছেদের দশমী। ছেলেমেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে কৈলাসে পাড়ি দেবেন উমা। অধিকাংশ বাঙালির মন খারাপ। ফের এক বছরের অপেক্ষা মায়ের ঘরে ফেরার। রাজ্যের এক প্রান্তে যখন বিষণ্ণতার সুর, অন্য প্রান্তে তখন অন্য ছবি। চন্দননগরবাসী (Chandannagar) আনন্দে মেতে উঠেছন জগদ্ধাত্রী পুজোয় (Jagadhatri Puja 2023) প্রস্তুতিতে।যে শহর গতকাল পর্যন্তও মেতেছিল উৎসবের আনন্দে। আজ সকাল থেকেই সেই শহরবাসীর চোখে জল। কারণ আজ বিচ্ছেদের দশমী। ছেলেমেয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে কৈলাসে পাড়ি দেবেন উমা
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2023) বিশ্ব বিখ্যাত। উমা বিদায়ের দিনেই সেই পুজোর আগমনী বার্তা শুরু হয়ে গেল। আজ থেকেই জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়। তবে, শুধু চন্দননগরবাসী নয়, এই পুজোয় মেতে উঠবে সমগ্র হুগলি জেলা থেকে গোটা বাংলার মানুষ। রীতি অনুযায়ী, দশমীর দিনই চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর কাঠামো পুজোর আয়োজন করা হয়। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বেশিরভাগ পুজোর কাঠামো পুজো হয় দুর্গা পুজোর দশমীর দিন।
আরও পড়ুন: বিসর্জনে সম্প্রীতির সুর, লন্ঠনের আলোয় মাকে বিদায় জানান সংখ্যালঘুরা
ঐতিহাসিক এই শহরে জগদ্ধাত্রী পুজো নিতান্তই পুজো বা উৎসব নয়। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে শহরের প্রত্যেক মানুষের আবেগ ও ভালোবাসা। দশমীর দিন ভদ্রেশ্বর গৌরহাটি তেঁতুলতলার ২৩১তম বর্ষের পুজোর কাঠামো পুজো হল। কাঠামো পুজোর পর থেকেই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়। কাঠামো পুজোর দিন এদিন তেঁতুলতলায় প্রচুর ভক্ত অঞ্জলি দেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন।
তেঁতুলতলা বারোয়ারী পুজো কমিটির এক সদস্য বলেন, “প্রত্যেক বছরই রীতি অনুযায়ী দুর্গাপুজোর দশমীর দিন জগদ্ধাত্রী পুজোর কাঠামো পুজো হয়। আজ থেকে শুরু হবে মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ। সাধারণ মানুষ থেকে সকলেই জানেন নবমীর দিন এক দিনে পুজো হয়। সেদিনই ভোগ বিতরণ করা হবে।”
দেখুন আরও অন্য খবর: