লাভপুর: বাঁকুড়া (Bankura), পুরুলিয়ার (Purulia) পর এবার বীরভূম (Birbhum)। মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা (Wall Collapsed) পড়ে মৃত্যু এক বৃদ্ধের। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম তমালকৃষ্ণ মণ্ডল (৭৮)। এই নিয়ে মোট ছ’জনের মৃত্যু হল দেওয়ার চাপা পড়ে। শনিবার বাঁকুড়ায় ৩ শিশুর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর ফের এক বৃদ্ধার মৃত্যু খবর প্রকাশ্যে আসে। রবিবার সকালে পুরুলিয়া থেকে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়।
বীরভূমের লাভপুর থানার অন্তর্গত ডাঙ্গাল গ্রামের বাসিন্দা ৭৮ বছর বয়সী বৃদ্ধ তমালকৃষ্ণ মন্ডল। রবিবার সকালে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। রাতভর বৃষ্টির কারণে আচমকাই মাটির দেওয়াল ফেটে যায়। আচমকাই বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে তাঁর গায়ের উপর। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: দেওয়াল ধসে মৃত্যু বৃদ্ধার, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে বিধায়ক
বৃদ্ধের ছেলে জানান, বাবা বয়স্ক মানুষ। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা মাটির বাড়ির সামনে গিয়েছিল। সেই সময় আচমকা ভেঙে পড়ে বাড়িটি। আর বাঁচানো যায়নি। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায় বলেন, আমরা বসেই ছিলাম কাছে। সেই সময় আচমকা একটা আওয়াজ শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি একজন বয়স্ক লোক চাপা পড়ে গিয়েছে। ওনার ছেলেও দৌড়ে এসেছিলেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
নিম্নচাপের জেরে বীরভূমে লাগাতার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জেলার বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে মাটির বাড়িতে এখনও বসবাস করেন সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, আবেদন করা সত্ত্বেও জোটেনি সরকারি আবাস যোজনার পাকা বাড়ি। তাই মাটির বাড়িতেই একপ্রকার অসহায় অবস্থায় বসবাস করতে হচ্ছে তাঁদের। বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে মাটির বাড়িতে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাঁকুড়ার পর বীরভূমে এক বৃদ্ধ দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কি কারনে মৃত্যু ? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দেখুন আরও অন্য খবর: