নদিয়া: ভাষা বিতর্কের মধ্যেই পুজোয় (Durga Puja 2025) আসছে শান্তিপুর, ফুলিয়ার বাংলা হরফের শাড়ি (Bangla font Saree)। বাংলা ও বাঙালির আবেগের ঝলক এবারদেখা যাবে শাড়িতেও। নদিয়ার ফুলিয়ার শাড়ি মানেই আবেগ – গর্ব। সেই আবেগ-গর্ব এবার মিশে যাচ্ছে পুজোর শাড়ির পাড়ে। শান্তিপুর ফুলিয়ার (Shantipur-Fulia) তাঁতশিল্পীদের নতুন সৃষ্টিতে শাড়ির বুননে জায়গা করে নিয়েছে বাংলা হরফ। কোথাও পাড় জুড়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা, কোথাও আঁচলে ফুটে উঠছে বাংলার নারী বাংলার শাড়ি, কোথাও আঁচলে ফুটে উঠছে সত্যজিৎ রায়ের নাম। আবহে বাঙালির ভাবাবেগে নতুন বিপ্লব আনতে চলেছে এই শাড়ি। পুজোয় শুধু কলকাতা বা রাজ্য নয়। অর্ডার আসছে বিদেশ থেকেও।
বাঙালির আবেগ ঐতিহ্যে আজও নিজেদের অবস্থান অটুট রেখেছে শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত।
বহু বছর ধরে বাংলার ঐতিহ্য বহন করছে গঙ্গার পূর্বপাড়ের এই তাঁতশিল্পীরা। এ বার তাঁদের সৃষ্টিতে যোগ হচ্ছে নতুন অধ্যায়। ‘বাংলা পাড়ের’ শাড়ি যেন বাঙালির ভাষা-সংস্কৃতিকে গর্বের সঙ্গে জড়িয়ে ধরছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে অর্ডার। শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকেও মিলছে দেদার চাহিদা। ফুলিয়ার গলিতে এখন সকাল-সন্ধ্যা তাঁত বোনার শব্দ। কারও হাতে পাড়ে বুনছে “আহা তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা, প্রিয় আমার ওগো প্রিয়”—কবিতার লাইন, আবার কোথাও শাড়ির আঁচলে ফুটে উঠছে—“পুজোর গন্ধ এসেছে”। তাঁতশিল্পীদের দাবি, এই শাড়িই হতে চলেছে এবারের পুজোর সবচেয়ে বড় ট্রাম্প কার্ড।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ওভারহেড তার ছিঁড়ে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত
পদ্মশ্রী বীরেন বসাক (Biren Kumar Basak ) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভাষা ও সংস্কৃতির সম্মান রক্ষার আন্দোলনের আবহে ‘বাংলা পাড়ের’ শাড়ি যেন বাঙালির আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে উঠছে। অপরদিকে বাংলার তাঁত শিল্প যেভাবে বিদেশি সারির প্রাদুর ভাবে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে আরও চিন্তার বিষয়। বাংলার তাঁতের শাড়ি যে মজুরিতে তৈরি হয় তার অর্ধেক দামে পাওয়া যাচ্ছে বাজারে যেগুলি ভিন রাজ্য থেকে আসছে বাংলায় আর তাতেই নদীয়ার শান্তিপুরে তাঁত শিল্পের করুন অবস্থা ।
অন্য খবর দেখুন