বনগাঁ: শান্তনু ঠাকুরের প্যাডে গো মাংস স্লিপ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন গো মাংস পাচারকারী জিয়ারুল গাজি। সপ্তাহে দুদিন করে স্লিপ দেওয়া হতো মন্ত্রীর প্যাডে বলে দাবি জিয়ারুলের। সেখানে বলা হত, তিন কিলো করে গরুর মাংস ৩০০ টাকা। তার মধ্যে গো মাংস পাচারকারী পেত ১০০ টাকা। বাকি ২০০ টাকা মন্ত্রীর কাছে জমা হত।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি এবার খোদ গরুর মাংস পাচারকারীর। সোমবার এ বিষয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তারপরই এই গো মাংস পাচারকারীর দাবিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও এ বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: সাগরদত্ত হাসপাতালে বিক্ষোভ চিকিৎসকদের
তিনি জানান, ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কাছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকারি প্যাড দেখাতেই বাংলাদেশে আমাদের গো মাংস চলে যেত। জিয়ারুল গাজির বাড়ি স্বরূপনগর থানার আজিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝেরপাড়া ৯৬ নম্বর বুথে। তিনি দাবি করেন, প্রতিদিন ৬টা করে স্লিপ দেওয়া হত। সেই স্লিপ সীমান্তে দেখালে অবাধে ওপার বাংলায় গোমাংস চলে যেত। তার জন্য তাঁরা পেতো ১০০ টাকা। বাকি ২০০ টাকা মন্ত্রীর কাছে জমা হত বলে দাবি করেন জিয়ারুল।
এই নিয়ে কটাক্ষ করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, এটা তদন্ত হওয়া দরকার। শুধু স্লিপ নয় এর পিছনে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ স্লিপ ইস্যূ করা হয়েছে। গরু তো পাখনা গজায়নি যে বাংলাদেশে উড়ে উড়ে চলে যাবে। ভিন রাজ্যের থেকে প্রচুর গরু এ রাজ্যে আসছে কী করে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: