পিংলা: কয়েকদিন ধরেই রাজ্য জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি। গরমে হাঁসফাস পরিস্থিতি রাজ্যবাসীর। এই তীব্র গরমে রাজ্যে রাজনৈতিক পারদও চড়ছে। গরমে উপেক্ষা করেই নির্বাচনী জনসভায় ঝড় তুলছেন রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জেলার পর জেলা চষে বেড়াচ্ছেন। এই গরমে রাজ্যে ৭ দফায় নির্বাচন করা নিয়ে ঘাটালের নির্বাচনী জনসভা (Election Campaign) থেকে নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগলেন তৃণমূলনেত্রী। শুক্রবার মঞ্চে উঠেই মমতা বলেন, প্রচণ্ড গরম। মাটি দগ্ধ হয়ে আছে। গরম ভাপ বেরোচ্ছে। এভাবে মানুষকে রোদের মাঝে পুড়িয়ে ভোট করানোর কোনও অর্থ হয়, বলুন তো?
মমতা আরও বলেন, চেন্নাইয়ের ৪০টা সিট। একদিনে ভোট করাল। আর বাংলায় কমিশন কীভাবে অত্যাচার করছে। তিন মাস ধরে ভোট চলছে। এই গরমে আমি প্রায় ২৮ দিন রাস্তায়। আপনারাই বলু, আমার কতটা গরম লাগে। কেউ কেউ ভাবছে হেলিকপ্টারে আসি-যাই। কত আরাম। একদমই তা নয়। হেলিকপ্টারের ভিতরটা আগুনের মতো গরম হয়ে থাকে। বর্ষায় যেমন এয়ারপকেট হয় তেমনি গ্রীষ্মেও এয়ারপকেট হয়। পাইলটদেরও খুব কষ্ট হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে চাকরিখেকো বলে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
এরপরই কমিশনকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না মানুষের কষ্ট হোক। কিন্তু ইলেকশন কমিশন কি সেটা বোঝে? বাংলায় তিন মাস ধরে ভোট করাছে। এই গরমে মানুষকে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। নিজেরা এসি ঘরে বসে থাকে। একবার বেরিয়ে দেখে যান বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরে কেমন গরম।
এদিন বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, বিজেপি দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে। এনআরসি নিয়ে এসেছে। সিএএ নিয়ে এসেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। রাজ্যে সিএ, এনআরসি হতে দেব না। উন্নয়নে অনেক এগিয়ে বাংলা। রাজ্যে একের পর এক কেন্দ্রীয় টিম এসেছে। তদন্ত করেছে। রিপোর্ট চেয়েছে। কিন্তু সব কিছুর পরও একশো দিনের কাজে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তিন বছর টাকা দেয়নি। আমরা দিয়েছি সেই টাকা। তাই বিজেপিকে একটাও ভোট নয়। আমরা কর্মশ্রী চালু করছি। ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিয়ে গেলাম। জবকার্ড হোল্ডাররা কাজ পাবেন। টাকাও বাংলার সরকার দেবে।
দেখুন খবর