কলকাতা, ২০ জুলাই: কালকের দিনটায় যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, কর্মী-সমর্থক-নেতারা যাতে সুষ্ঠু ভাবে সভা স্থলে আসেন-ফিরে যান, বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কথায়, “সবাই সাবধানে-শান্তিপূর্ণ ভাবে আসবেন। নিয়ম-শৃঙ্খলা কোনও ভাবেই যেন বিঘ্নিত না হয়। শুধু সভায় আসাই নয়, সুষ্ঠু ভাবে বাড়ি ফিরবেন প্রত্যেকে।” যাঁরা অনেক দূরে থাকেন, বা শারীরিক কারণে ২১-এ সভায় আসতে পারছেন না, তাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ধর্মতলায় আসতে না পারলে টিভি-ভিডিয়োতে চোখ রাখুন। নেত্রীর কথায়, “আমাদের কাছে ২১ জুলাই ঐতিহাসিক দিন। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। খেয়াল রাখবেন, কোনও ভাবেই যেন সাধারণ মানুষ কোনও সমস্যার মধ্যে না পড়েন।” নেত্রীর কথায়, এই দিনটির সঙ্গে আমাদের আবেগ ও স্বজনরা জড়িত। জড়িত মা মাটি মানুষ। আমাদের শহিদ তর্পণ— মা মাটি মানুষকে উৎসর্গ করা।
অতীত বলছে, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের দিন ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। আর সে-কথা উল্লেখ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘যদিও এই সময়টায় আবহাওয়া ভাল থাকে না। ঝড়-জল-বৃষ্টি হয়। আমাদের লাখো লাখো কর্মী সমাবেশে এসে উপস্থিত হন নিজেদের চেষ্টায়। সবাইকে আবেদন করব, ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে সবারে করি আহ্বান। সব মানুষকে আবেদন করব। যাঁরা পারবেন তাঁরা আসুন। যাঁরা আসতে পারবেন না, তাঁরা টিভিতে দেখুন, আমাদের ফেসবুক লাইভে দেখুন।’’
ইতিমধ্যেই দূর প্রান্তের জেলা থেকে দলের কর্মী-সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। সোম-মঙ্গলেই দূরের অনেক জেলা থেকে কর্মীরা চলে এসেছেন। আজ বুধবার সকাল থেকেই হাওড়া-শিয়ালদহ স্টেশনে চোখে পড়েছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের লাইন। একাধিক ভাগে ভাগ হয়ে, শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই চোখে পড়েছে কর্মী-সমর্থকদের লম্বা লাইন। শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতির কাজ চলছে জোরকদমে। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রই হোক বা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম কিংবা সেন্টাল পার্ক-দূর দূরান্ত থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শাসক দলের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার কথায়, ‘‘কর্মীরাই তো আমাদের দলের সম্পদ। তাই ওদের দেখভাল করা আমাদের দায়িত্ব।’’
আরও পড়ুন: অতীতের সব রেকর্ড ভাঙার আশায় দুই বছর পর একুশের মঞ্চ বাঁধার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ঘাসফুলের