ওয়েবডেস্ক- বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা (Burdwan Administrative Meeting) থেকে বাংলার বাইরে বাংলাভাষী পরিযায়ীদের (Bengali-Speaking Migrants) উপর সীমাহীন অত্যাচার নিয়ে ফের গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের সভা থেকে তিনি স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন, বাংলার অপমান বরদাস্ত করবেন না তিনি। ভাষা সন্ত্রাস মানব না। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে নিশানা করে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেন, বাংলার নিজস্বতায় ভরসা করেই এই রাজ্য এগিয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার নির্যাতন বাড়ছে। বাংলায় শ্রমিকরা (Migrants Workers) ভালো কাজ জানেন। সেই জন্যই তো তাদের কাজ দেখে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দয়া করে তাদের নিয়ে যায়নি, দক্ষতা যাচাই করেই তাদের কাজে রাখা হয়েছে। গয়নার কাজ, কাপড়ের কাজ, নির্মাণকাজ ভাল করেন। তাঁদের আদর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আর সেখানে নিয়ে গিয়ে এই অত্যাচার চালানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, জামাই আদর করে ডেকে এনে এখন লাঞ্ছনা? কেনো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এইভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের? তিনি বলেন, বাংলার পড়ুয়াদের মেধার জন্য গোটা বিশ্ব তাদের সম্মান করে।
এদিনের প্রশাসনিক সভা থেকে ফের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার জন্য আহবান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরে এলে আগামী এক বছর মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, খাদ্যসুরক্ষা কার্ড পাবেন পাবেন তারা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাদের যাতে ভবিষ্যৎ নষ্ট না হয়, তা দেখার দায়িত্ব আমাদের। স্কিল ট্রেনিং করাব। যে কাজে ওরা পারদর্শী সে কাজই পাবেন। কেউ ব্যবসাও করতে পারেন। কোনও কাজ ছোট নয়। যে প্রকল্প আমরা করেছি, তার নাম শ্রমশ্রী (Shramshree)। কর্মশ্রীর বন্ধু শ্রমশ্রী।’’
আরও পড়ুন- সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক, ২৬-এর নির্বাচনের আগে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক?
মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশ্ন তোলেন, বাংলায় প্রায় দেড় কোটি বাইরের মানুষ কাজ করেন। আমরা কাউকে অত্যাচার করি না। তাদের ভালোবাসি। তাহলে কেন ওড়িশা (Orissa), মুম্বই (Mumbai), গুজরাটে (Gujrat) আমাদের রাজ্যের লোকজনকে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করা হবে?
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গুজরাতের লোককে ট্রাম্প কোমরে দড়ি দিয়ে তাড়িয়ে দিলেও, বাঙালি ছাড়া অক্সফোর্ড চলে না, কেমব্রিজ চলে না, নাসা চলে না।’’
দেখুন আরও খবর-