কাঁকসা: জঙ্গলে কাঠ কুড়াতে গিয়েছিল আদিবাসী নাবালিকা (Tribal Girl)। সেখানেই গণধর্ষণের (Gang Rape) শিকার হয় সে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে কাঁকসা (Kanksa) থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে আদিবাসী সম্প্রদায়। বাম সমর্থিত আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে এদিন কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আইসির কাছে দোষীদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। আদিবাসী সংগঠনের হুঁশিয়ারি, ভবিষ্যতে আদিবাসী মহিলাদের উপর কোনওরকম নির্যাতন হলে বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটলে প্রশাসন যদি ব্যবস্থা না নেয়, তবে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাঁকসার কুলডিহার আদিবাসী পাড়ার দুই নাবালিকা কাঠ কুড়াতে গিয়েছিল জঙ্গলে। বিকেলে বাড়ি ফিরে আসার সময় এলাকার চার যুবক দুই নাবালিকার পথ আটকায়। তখন এক নাবালিকা কোনওক্রমে ছুটে পালাতে সক্ষম হলেও আর একজন পারেনি। তখন তাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে জঙ্গলে ফেলে পালায় অভিযুক্তরা। নাবালিকার বান্ধবী নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। তখন ওই নাবালিকার বাবা জঙ্গলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন। তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: সমবায় কেলেঙ্কারিতে আলিপুরদুয়ারে সিবিআই হানা
নির্যাতিতার বাবা কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার দিন রাতে কাঁকসা থানার পুলিশ এক নাবালক সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার মহকুমা আদালতে তিন যুবককে এবং নাবালককে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করে। ধৃত নাবালককে মহকুমা আদালতের বিচারক হোমে পাঠায় এবং ধৃত তিন জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
দেখুন আরও অন্য খবর: