কলকাতা: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট (Budget 2023) পেশ করলেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। সেই বাজেটে কৃষিখাতে বড়সর লগ্নির ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, সারা দেশের (India) মধ্যে আমাদের রাজ্যে (West Bengal) কৃষিক্ষেত্রে নজিরবিহীন উন্নতি করেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কৃষি বিভাগের জন্য ৯,৫৯৫.৩২কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে রাজ্যের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প আগে থেকেই চালু ছিল। সেই প্রকল্পকে এবারে পুনর্গঠন করে নবরূপে ‘কৃষকবন্ধু’ (নতুন) নাম চালু হয়েছে বলে জানান অর্থ প্রতিমন্ত্রী। এই বছর পাঁচ দফায় নতুন করে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ৩০ লক্ষ কৃষকের নাম ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে নথিভুক্তও করা হয়েছে। এর আওতায় থাকা ১৮-৬০ বছর বয়সী কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তার পরিবারের হাতে এককালীন ২ লক্ষ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। সূচনা কাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই খাতে ব্যয় হয়েছে ১,৩৫২.২৪ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৪৮১.৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪,০৭২ পরিবার এই মৃত্যুজনিত আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এছাড়াও বার্ধক্যজনিত পেনশন বা FOAP আওতায় থাকা কৃষকবন্ধুরা যে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন সে কথাও তিনি জানান।
এরপর চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলায় কৃষিজ উৎপাদনে জোয়ার এসেছে। সেই কারণেই আমাদের রাজ্য ধান, পাট ও মেস্তা উৎপাদনে ভারতের মধ্যে প্রথম। আলু উৎপাদনে রাজ্য দ্বিতীয়। ভুট্টা উৎপাদনে চাষের জমি ২.৪৫ হেক্টর লক্ষ থেকে বেড়ে ৩.৬৮ হেক্টর লক্ষ হয়েছে। একইভাবে ডাল এবং তৈলবীজ উৎপাদনের উপযোগী জমির পরিমাণও বেড়েছে।
প্রসঙ্গত ,কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে খারিফ মরশুমে ৮৮.৭৯ লক্ষ কৃষক এই সুবিধা পেয়েছেন। যার জন্য ব্যয় হয়েছে ২,৪৭৭.৫১ কোটি টাকা। এবং রবি মরশুমে ৯১.৫৭ লক্ষ কৃষকবন্ধু এই সুবিধা পেয়েছেন। যার জন্য ব্যয় হয়েছে ২,৫৫৮.৯০ কোটি টাকা। এছাড়াও সূচনাকাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে মোট ১২,৫০০ কোটির বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে এই বাজেটে।