মেদিনীপুর: স্যালাইন-কাণ্ডে (Saline Controversy) প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। এর প্রতিবাদে প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Medinipur Medical College) সামনে শুরু হয় বামেদের বিক্ষোভ। তবে আন্দোলনের রেশ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে জেলা প্রশাসনের দফতর পর্যন্ত। এই ঘটনার জেরে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee) ও আরও ১৫ জন সিপিএম (CPIM) কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ।
সরকারি দফতরের সামনে বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ১৮৯(২), ২২১, ১০৯, ১২১(২), ৩২৪(৩), ৩৫১(২), ১৩২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, বেআইনিভাবে জমায়েত করা, এবং সরকারি কর্মীদের গুরুতরভাবে আঘাত করার মতো অপরাধে তাঁরা জড়িত।
আরও পড়ুন: গুরুদায়িত্বে আদিবাসী মহিলা, জঙ্গলমহলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বামেরা?
এফআইআর দায়েরের প্রসঙ্গে সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। আমরা ন্যায়ের দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। মামলা করে আমাদের আটকানো যাবে না। বরং আরও বেশি সংখ্যক মানুষ আন্দোলনে যোগ দেবেন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামবে।” যদিও ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল পরিস্থিতি শুরু হয়। অভিযোগ, হাসপাতালের দেওয়া স্যালাইনের গুণগত মান খারাপ হওয়ায় প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এরপর একাধিক প্রসূতির অসুস্থ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় শুধু হাসপাতালেই নয়, জেলা শাসকের দফতরের সামনেও বাম কর্মী-সমর্থকেরা তীব্র বিক্ষোভ দেখান। দাবি, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
দেখুন আরও খবর: