পানাগড়: রাজু ঝাঁ (Raju Jha) খুনে গ্রেফতার এক। অবশেষে ১৮ দিন পর কয়লা মাফিয়া (Coal Mafia) রাজু ঝাঁ খুনে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তিনি পানাগড়ের বাসিন্দা।
গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে খুন হন রাজু। এরপর এই ঘটনায় ১২ সদস্যের সিট গঠন করে বর্ধমান জেলা পুলিশ। খুনের প্রায় ১৮ দিন পর একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঠিক কী করণে অভিজিৎ রাজুকে খুন করল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Aparupa Poddar | হোয়াটসঅ্যাপে তৃণমূল সাংসদকে প্রাণে মারার হুমকি, পুলিশের জালে ১
গত ১ এপ্রিল কলকাতায় আসার পথে শক্তিগড়ে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন আসানসোল, দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়া বলে পরিচিত রাজু ঝা। যে গাড়িতে করে তিনি কলকাতায় আসছিলেন, সেই গাড়ির মধ্যেই তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। গাড়িতেই মারা যান রাজু।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে রাজুর সঙ্গে ছিলেন গরু পাচার-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লতিফ। তাঁকে সিবিআই অনেকদিন ধরে খুঁজছিল। স্থানীয় সূত্র্রের খবর, গাড়িতে চারজন ছিল। শক্তিগড়ে রাজু বাকি দুজনকে ঝালমুড়ি আনতে পাঠায়। সেই সময় লতিফও গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। ঘটনার পর থেকেই লতিফের আর খোঁজ মেলেনি। ব্যবসার সূত্রে রাজুর সঙ্গে লতিফের পরিচয় হয়।
পুলিশ জানতে পারে, শক্তিগড়ে আসার আগে আসানসোলে একটি হোটেলে উঠেছিলেন রাজু, লতিফরা। গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই হোটেলে রাজুর সঙ্গে লতিফের কোনও একটি বিষয়ে তুমুল ঝগড়া হয়। তারপর তাঁরা কলকাতার দিকে রওনা হন। পথে শক্তিগড়ে গাড়ি থামে। তখনই খুন হন রাজু। পরের দিনই রাজুর দিল্লিতে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কেউ কেউ বলছে, রাজু অনেক গোপন তথ্য সিবিআইকে জানিয়ে দিতে পারতেন বলেই তাঁকে খুন করা হল।
পুলিশ ১২ সদস্যের সিট গঠন করে রাজু খুনের তদন্তের জন্য। ঘটনার প্রায় আড়াই সপ্তাহ পরে সিট এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল।