বোলপুর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেন্ডিয়া তত্ত্বেই সিলমোহর পড়ল বীরভূমের মুরারইয়ের একটি পঞ্চায়েতে। মুরারাই ২ ব্লকের জাজিগ্রাম পঞ্চায়েতে যৌথভাবে বোর্ড গড়ল বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস। শুক্রবার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে একসঙ্গে উড়ল বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের পতাকা। ধারে কাছে দেখা মিলল না শাসকদলের কর্মীদের।
এই পঞ্চায়েতে মোট আসন ২৪টি। তার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে নটি, বিজেপি চারটি, কংগ্রেস চারটি, সিপিএম তিনটি এবং নির্দল পেয়েছে একটি। স্বাভাবিকভাবেই এই তিন দলের মিলিত আসন হয় ১৪। তারাই মিলিজুলি বোর্ড গঠন করল।
গতকালও বেশ কয়েকটি এলাকায় তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি হাত মিলিয়ে বোর্ড গঠন করেছে। তৃণমূল এবং বাকি তিন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা কোনও অনৈতিক জোট বরদাস্ত করবেন না। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কোথাও তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বোর্ড গঠন করছে, আবার কোথাও বামেরা তৃণমূলের সঙ্গে বোর্ড গড়ছে। দলগুলির নেতারা মুখে বলছেন, এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু নিচুতলার চাপে বহু ক্ষেত্রে এ ধরনের রামধনু জোট হচ্ছে। শাস্তির পরোয়া না করেই যে যার মতো পঞ্চায়েতের বোর্ড গড়ে নিচ্ছে। সেখানে তৃণমূলের কাছে বিজেপি ব্রাত্য নয়, বিজেপির কাছে তৃণমূল ব্রাত্য নয়, সিপিএমের কাছে তৃণমূল অধরা নয়, তৃণমূলের কাছে বিজেপি ব্রাত্য নয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র খানাকুল
এদিনই নদিয়ার তেহট্টে পলাশীপাড়া পঞ্চায়েতে রাম-বাম এক হয়েও বিরোধীরা বোর্ড গড়তে পারেনি। বিজেপি সদস্যের সমর্থন পেয়ে বোর্ড গড়ল তৃণমূল। পঞ্চায়েতে মোট আসন ২২। তৃণমূল পেয়েছে দশটি, সিপিএম এবং বিজেপি পেয়েছে ছটি করে আসন। প্রধান নির্বাচন করতে ভোট নেওয়া হয়। সিপিএম এবং বিজেপি এক হলেও সিপিএমের একজন গরহাজির ছিলেন। আর এক বিজেপি সদস্য তৃণমূলকে সমর্থন করেন। তাঁর সমর্থন পেয়ে প্রধান এবং উপপ্রধান হন তৃণমূলের দুই সদস্য।
তিনদিন আগেই ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি, বাম, কংগ্রেসকে এক বন্ধনীতে রেখে তিন দলের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশে ইন্ডিয়া, আর বাংলা বিজেন্ডিয়া? বিজেপির কোলে সিপিএম আর কংগ্রেস বসে আছে। লজ্জাও করে না। এরকম চললে বাংলায় আমরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করব।