সন্দেশখালি: শুক্রবারা সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। শুক্রবার বেড়মজুর এলাকায় এলাকার মানুষেরা বিক্ষোভ দেকাতে পুলিশের বিরুদ্ধ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল অনুগামীরা গ্রামবাসীদের ভয় দেখাচ্ছে। এমনকী মারধরও করে বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে লাঠি-ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। সেই সমস্ত বিক্ষোভকারীদের পুলিশ এদিন দুপুরে আটক করতে শুরু করে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘরের ভিতরে ঢুকে পুরুষদের টেনে-হিঁচড়ে আটক করে নিয়ে যায়। প্রায় ২০ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। সন্দেশখালি দু’নম্বর ব্লকের বেড়মজুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও বে-ৃমজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
এই ঘটনার পর এলাকার মহিলারা রাস্তায় গাছে গুঁড়ি ফেলে পথ আটখে দেয়। কাছাড়িপাড়া, বটতলা, দাসপাড়া সহ একাধিক গ্রামে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন গ্রামবাসীরা। রাস্তার উপর শুয়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ ফেটে পড়েন তাঁরা। কাছাড়িপাড়া, সর্দার পাড়া, বটতলার বিভিন্ন পাড়ায় গিয়ে ডিজি নিজে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সফরের মধ্যেই ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি
শুক্রবার সকালেই বেড়মজুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় মহিলারা।
এদিন সন্দেশখালি বেরমজুর দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছারি বাড়ি এলাকায় আলাঘরে ভাঙচুর চালায় আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয়রা। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি ও তোয়াব মোল্লার ভেড়ির আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।এই পরিস্থিতিতে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা করেছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর:
