কলকাতা: মায়ের বকাতেই অভিমান করে আত্মঘাতী ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্র। বৃহস্পতিবার কসবার ঘটনায় শিউরে উঠছে মহানগর বাসী।
কসবার কে চ্যাটার্জি রোডের বাসিন্দা ছেলেটি সেদিন সন্ধ্যায় টিউশন থেকে বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে জানায় তার খিদে পেয়েছে। তারপর তার মা তাকে খবর বানিয়ে দেন। খাবার খেয়ে আবার পড়তে বসে যায় ওই পড়ুয়া। তখন সে দেখে যে তার বিজ্ঞানের বইটি নেই। আর সেখান থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। পুলিশ সূত্রে খবর, বিজ্ঞানের বই খুঁজে না পাওয়ায় ওই ছেলেটিকে তার মা নানান কথা বলে বকাবকি করতে থাকেন। তারপরেই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্র। খানিক্ষন কেটে যাওয়ার পর তাকে বহুবার ডাকা ডাকি করেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় ওই মহিলার খানিকটা সন্দেহ হয়। তখন তার মা দরজায় বেশ কয়েকবার ধাক্কা দিলেও কোনো উত্তর পায়নি। পরবর্তীকালে, সে তার প্রতিবেশীদের কাছে সাহায্য চায়। অবশেষে, স্থানীয়দের সহায়তায়, তার মা দরজা ভাঙেন। তারপরই সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায় ১২ বছরের ওই ছাত্রের নিথর দেহ। সময় নষ্ট না করে তার পরিবারের লোকেরা এবং আত্মীয়রা মিলে ওই ছেলেটিকে নামিয়ে নামিয়ে রুবি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন রাত ৮.১০। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা। পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে ওই নাবালক।
মনোবিদদের মতে, শিশুদের মধ্যে সহনশীলতার মাত্রা এখন সর্বনিম্ন। পড়াশোনা নিয়ে শিশুদের উপর অত্যাধিক চাপ দেওয়ার কারণে বাচ্চারা তাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। তখনই আবেগের সাথে তাড়াহুড়ো করে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করে ফেলে। একজন মায়ের তার সন্তানের সাথে সংযোগ সবচেয়ে বেশি। তার পক্ষ থেকে একটু ধমক দেওয়া একেবারেই স্বাভাবিক। তবে এই ক্ষেত্রে, শিশুটি এটি মেনে নিয়ে বা অক্ষম ছিল।