জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি শহরের ঐতিহ্যবাহী গৌড়ীয় মঠের জনন্নাথদেবের রথ ঘুরল শহরের রাস্তায়। রবিবার বেলা বাড়তে আকাশ পরিস্কার হয়। এই কারণে অসংখ্য ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। পুলিশের নিরাপত্তা ও নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মত।
আষাঢ় মাসে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা হয়ে থাকে। এই মাসের প্রধান উৎসব এই রথযাত্রাকে বলা হয়। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেলা ও উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে। আষাঢ়ের শুক্লা দ্বিতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত এই নয় দিনের পুরীর রথ যাত্রা বিখ্যাত। জগন্নাথ দেবের রথযাত্রাতে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার খর্বাকৃতি মূর্তি থাকে। কথিত আছে রথের দঁড়ি ধরলে মহাপুণ্য লাভ হয়। এ দিন সব জায়গায় সঙ্গে জলপাইগুড়ির গৌড়ীয় মঠে রথযাত্রা উৎসবের আকার নিয়েছিল।
রথযাত্রায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা ও সুদর্শন বিগ্রহ শহরের পুরাতন পুলিশ লাইনের গৌড়ীয় মঠ থেকে নিয়ে সুসজ্জিত রথ শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করল। রাস্তার দুই ধারে ভক্তদের ভিড় ছিল যথেষ্ট। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা এই রথ দেখতে এসেছিলেন। ভক্তরা শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথের সামনে জল ছিটিয়ে ঝাঁড়ু হাতে রাস্তা পরিস্কার করলেন অসংখ্য ভক্ত। ধীরে ধীরে দঁড়ির টানে এগিয়ে আসে জগন্নাথ দেবের রথ পরিস্কার রাস্তা দিয়ে। সেই সঙ্গে সমানতালে বাজতে থাকে শঙ্খ , ঘন্টা, কাঁসা, ঢাক, ঢোল ও উলুধ্বনি। ভক্তবৃন্দরা ভক্তি সহকারে রথকে টেনে এগিয়ে নিয়ে যায়। রথ থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দর্শনার্থীদের দেওয়া হয় প্রসাদ। রথ পুরাতন পুলিশ লাইনের গৌড়ীয় মঠ থেকে বেড়িয়ে শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে বিকেলে যোগমায়া কালীবাড়িতে অবস্থান করবে। এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে যোগমায়া কালীবাড়িতে এ দি মেলা বসেছে। উল্লেখ্য, সাতদিন মাসির বাড়ি অথাৎ যোগমায়া কালীবাড়িতে বিগ্রহ অবস্থান করবে রথ চলবে পূজো। এরপর উল্টো রথে আবার ফিরে যাবে পুরাতন পুলিশ লাইন।