রাণীগঞ্জ: সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি রুখতে চলল পুলিশের লাগাতার গুলির লড়াই। রাণীগঞ্জের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দিনে দুপুরে সেনকো গোল্ডে ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ৮ সদস্যের ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সোনার দোকানে ঢোকে। এরপর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেয়। তারপর দোকানের ভিতরে ঢুকে দোকানের মধ্যে থাকা সমস্ত কর্মী ও ক্রেতাদের বন্দুকের নিশানাই রেখে ১০-১৫ মিনিট ধরে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ। এই ডাকাতির ঘটনা বুঝতে পেরে বাইরে থাকা পুলিশ ডাকাত দলের কয়েকজনের উদ্দেশ্যেই গুলি ছুঁড়তে থাকলে পাল্টা ডাকাতেরা পক্ষ থেকেও লাগাতার গুলি ছোড়া হয়। এই ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ ধরে এলাকার আশেপাশে গুলির লড়াই চলতে থাকে। পুলিশ দ্রুত সক্রিয় হয়ে ডাকাতদের উদ্দেশ্যে গুলি করতে থাকায় ডাকাত দলের একজন এই ঘটনায় আহত হয়। যদিও দ্রুতগতিতে তারা বাইক নিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।
এই ঘটনায় দোকানের মধ্যে থাকা বেশ কিছু সোনার গহনা ডাকার দল লুট করে নিয়ে গেলেও একটা থলি ভর্তি সোনার গহনা তারা নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলেই এই মুহূর্তে জানা গিয়ছে। তবে ডাকাত দল মুহূর্তে ঘটনার স্থল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকেই এখনও পর্যন্ত ধরা যায়নি। জানা গিয়েছে, হিন্দি ভাষাভাষী ২২, ২৫ বছরের ৮ জন যুবক হঠাৎ করেই ঢুকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনার পর নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় ডাকাত দল। যদি এই ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ায় আশপাশের হাজারো মানুষ এ মুহূর্তে জড়ো হয়েছে রানীগঞ্জের তার বাংলা অঞ্চলে। পুলিশ সমস্ত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহের জন্য এখন ওই সেনকো গোল্ডের মালিকের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত ঘটনা জেনে নিচ্ছেন।
এই ঘটনার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ডাকাত দলের কাউকে ধরপাকড় করা যায় কিনা এ বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশের পিসি পার্টির নজরদারি সক্রিয় থাকায় ডাকাত দল এই ডাকাতির ঘটনার সময় ব্যাপকভাবে বেগ পেয়েছে। তবে দিনে দুপুরে এ ধরনের ডাকাতির ঘটনায় ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে রানীগঞ্জের বাজার এলাকায়।