সন্দেশখালি: শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনায় ন্যাজাট থানায় শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি (ED)। পাল্টা ইডির বিরুদ্ধে বিনা ওয়ারেন্ট ও নোটিসে বাড়িতে ঢুকে হেনস্থার অভিযোগ করছে শাহজাহানের পরিবার। এছাড়া বসিরহাট জেলা পুলিশ একটি স্বতঃপ্রণোদিত (Suo Motu) মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। সব মিলিয়ে সন্দেশখালি কাণ্ডে শনিবার পৰ্যন্ত মোট তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার জে বি থমাস কে জানান, তিনটি এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করে। গাড়ি ভাংচুর করা হয়। গুরুতর জখম হন তিন ইডি আধিকারিক। তাঁরা সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন আছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের দেখতে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার বালু ঘনিষ্ঠ শঙ্কর আঢ্য
ইডি সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে আক্রান্ত আধিকারিক রাজকুমার রামের মাথায় চোট লেগেছে। তিনি গুয়াহাটির অফিসার। তাঁর মাথায় পাঁচ-ছ’টি সেলাই হয়েছে। বাকি দুই ইডি আধিকারিকের নাম অঙ্কুর দত্ত এবং সোমনাথ দত্ত। তাঁদেরও মাথায় সেলাই পড়েছে।
সূত্র্রের খবর, ইডি শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপারকেও লিখিত অভিযোগ করেছে। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা গতকালের ঘটনার ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে। শনিবারই তারা শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে। গতকাল রাজ্যপাল হুমকি দেন, এর ফল ভোগ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তারা দায় এড়িয়ে যেতে পারে না।
আরও খবর দেখুন