বারাসত: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল (TMC) নেতা এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানের (SK Shahjahan) বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস (Lookout Notice) জারি করল ইডি (ED)। এ ব্যাপারে তারা বিএসএফ, আইবি-রও সাহায্য চেয়েছে। শুক্রবার রেশন দুর্নীতি নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের ভিত্তিতে ইডি সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে ডাকাডাকির পরও ভিতর থেকে তালাবন্ধ গেট না খোলায় ইডি অফিসারদের সঙ্গে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। তখনই শাহজাহানের কয়েকশো অনুগামী ইডি অফিসার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর চড়াও হয়। তাঁদের মারধর করা হয়। ইডির অফিসারদের ল্যাপটপ, মোবাইল, রেশন দুর্নীতির নথি, মানিব্যাগ ইত্যাদি ছিনতাই করে পালায় স্থানীয়রা। তাদের হাতে বাঁশ, রড ইত্যাদি ছিল। প্রাণ হাতে নিয়ে কোনও মতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাঁচেন ইডি অফিসাররা।
সকাল থেকেই শাহজাহানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর মোবাইল ফোন নট রিচেবল বলা হচ্ছিল। ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলাপাড় হয়। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করে কড়া বার্তা দেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারকে এর ফল ভুগতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে বসে বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না। বিকেলে কল্যাণীতে এক অনুষ্ঠানের পরও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় একই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যাঁর খোঁজে ইডি গিয়েছিল, তাঁর আজ রাত বারোটার মধ্যে ইডির কাছে হাজিরা দেওয়া উচিত। শুক্রবার রাতে রাজ্যপাল এবং বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে যান জখম ইডি অফিসারদের দেখতে যান।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটের কি প্রভাব পড়বে রবিবার বাংলাদেশের নির্বাচনে?
রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী গতকাল বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শাহজাহানকে খুঁজে বার করা হবে। রাজ্যের শাসকদল গতকালই সন্দেশখালির ঘটনার জন্য ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্ররোচনাকে দায়ী করে। শাসকদলের তরফে বলা হয়, স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের স্বতঃস্ফূ্র্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে শুক্রবার সন্দেশখালিতে। শনিবার সকাল থেকেও শাহজাহানের খোঁজ মেলেনি। এদিনই ইডি তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করে।
আরও খবর দেখুন