এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেন, পর্ষদ টেট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে না। আমি আগে বলেছিলাম, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাই না। কিন্তু পর্ষদ আইন মেনে না চললে পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব। আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেব।
কেন বিচারপতির এই হুঁশিয়ারি?
আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্র দিতে হবে। যাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মঙ্গলবার ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করে ওয়েবসাইটে। কিন্তু ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের ব্যাপারে পর্ষদ নীরব থাকে। এই প্রার্থীরা বিষয়টি বিচারপতির গোচরে আনেন। পর্ষদ জানায়, শুক্রবার তারা ২০১৪ সালের প্রার্থীদের উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করবে। আদালতের প্রশ্ন, নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কেন পর্ষদ এই রকম ঢিলেমি করছে। তারা আইন না মানলে পরীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ দেব।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে চাই না। আমি চাই না, পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাক। কারণ এটা চাকরির ব্যাপার। তারপরেই বুঘবার তিনি পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন।
এদিকে এদিন বিকেলে ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কলকাতার এক্সাইড মোড়ে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পুলিশ এক মহিলাকে কামড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এক যুবককে ঘুষি মারতে মারতে ভ্যানে তুলতে দেখা যায় পুলিশকে। আন্দোলনকারীরা ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। তাকে ঘিরেই এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬৩ জন মহিলা-সহ ২৮২ জনকে গ্রেফতার করে।