কলকাতা: দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। এই নিয়ে মোট তিনটি মামলা দায়ের হল আদালতে। দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে তৃতীয় মামলাটি দায়ের করেছেন কলকাতা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পূর্ণিমা চক্রবর্তী। তাঁর হয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী ব্রজেশ ঝা। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্য কেরালা স্টোরি রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বুধবার সকালে হাই কোর্টে ২টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং আইনজীবী দেবদত্ত মাঝি পৃথক ভাবে এ প্রসঙ্গে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননম উভয় ক্ষেত্রেই মামলার অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন: C V Ananda Bose | অডিট রিপোর্ট রাজভবনে, টুইটে জানালেন রাজ্যপাল
বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের দ্য কেরালা স্টোরি মুক্তি পেয়েছে গত ৫ মে। মুক্তির আগে থেকেই এই ছবিকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ছবির বিষয়বস্তু সাম্প্রদায়িকতায় উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। কেরল, তামিলনাড়ু-সহ একাধিক রাজ্যে ছবিটিকে ঘিরে নানা অশান্তি হয়েছে। বিরোধীরা ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ওই সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই সিনেমায় যে সব দৃশ্য দেখানো হয়েছে তাতে শান্তি ও সৌহার্দ্য বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটতে পারে। এই সব ভেবেই নবান্ন ছবিটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতা সহ সব জেলাতেই এই ছবির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হল। একইসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেরল সরকার এই সিনেমা নিয়ে নীরব কেন?