কলকাতা: ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিকে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ganguly) যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সোমবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাতেই মান্যতা দিল। গত ২২ জানুয়ারি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কত শূন্য পদ রয়েছে, কত জন যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তার খসড়া প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষক পদে ১১,৭৬৫ শূন্যপদ রয়েছে। তারপরেই সোমবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দিল শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, পাঠ্যক্রম শেষ হবার আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) নিয়োগ নির্দেশিকার বিরোধিতা করে পড়ুয়ারা হাইকোর্টে মামলা করেছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যাঁরা ডিএলএডের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরাও নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তেই মান্যতা দেন। ওই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রা নিয়ে একটি শব্দও শোনা গেল না মুখ্যমন্ত্রীর মুখে
২০২৩ সালের এপ্রিলে হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজ্যের শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ বা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার্স এডুকেশনের বিধিনিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার ফল ঘোষিত না হলে নিয়োগ পরীক্ষায় বসা যায় না। এই যুক্তি তুলে ধরে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে।
আরও খবর দেখুন