বাসন্তী: বাসন্তীতে ফিশারিতে নোনা জল ঢোকানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। আহত তিন তৃণমূল সমর্থক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত সচিয়াখালীতে।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে রাজ্জাক শেখ নামে এক তৃনমূল নেতা তাঁর ফিশারিতে নোনা জল ঢোকায়। আর সেই নোনা জলে ফিশারির আশেপাশে থাকা বেশ কয়েকটি পুকুর ও জমিতে নোনাজল ঢুকে যায়। যার ফলে বেশকিছু মিষ্টি জলের মাছ মরে যায় এবং চাষের জমির ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ। সেই প্রতিবাদে গ্রামের কিছু তৃনমূল সমর্থক সচিয়া খালীতে দলীয় তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, সেই সময় রাজ্জাক শেখ ও তাঁর দলবল নিয়ে বিক্ষোভরত মানুষজনের উপর হামলা চালায়। শুধু তাই নয় এলাকায় ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেন আক্রান্ত তৃনমূল কর্মীর পরিবারের সদস্য ও চুনাখালী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যুব নেতা নুরুল হুদা খান।
আরও পড়ুন: Explosion| বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির চাল, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেজ্জাক শেখ। তাঁর অভিযোগ, তাঁরা ফিশারিতে নোনা জল ছাড়েনি। ওরা রাতের অন্ধকারে বাঁধ কাটিয়ে নোনা জল প্রবেশ করিয়েছে। আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাসন্তী থানার পুলিশ।
এদিকে দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। এই ঘটনায় দুই পক্ষই দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাস্থলে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মিলন দেবনাথকে আচমকা মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বুথ কনভেনার ফারুকুজ্জামান ও তৃণমূল নেতা ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় দুই পক্ষ চাকলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
মিলন দেবনাথের অভিযোগ, যারা তাঁকে মারধর করেছে তারা তৃণমূলের কেউ নয়। তোলাবাজ, গুন্ডাবাজ দুষ্কৃতী বলে দাবি তাঁর। এদিকে তৃণমূল নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, মিলন দেবনাথ চাকলা অঞ্চলের কোনও সভাপতি নন। তিনি বিজেপির দালালি করেন, আর এলাকায় তোলাবাজি করে বেড়ান। প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের দাবি, ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সব জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল।