কলকাতা: পুরভোটে সন্ত্রাস, ভোট লুঠ নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের বড় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এমনটাও জানা যায়নি। ভোট শতাংশের হার খুবই ভালো। বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। পুরভোটে এরকমই ভোট পড়ে। কয়েকটা ছোট ঘটনা হয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
ডিজি বলেন, ‘পুলিস ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন একসঙ্গে কাজ করেছে। কোনও অশান্তির খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপও করা হয়েছে। ৭৯৭ জনকে প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়েছে। ৫১ জনকে আটকও করা হয়েছে।’ বিজেপির ডাকা বন্ধ প্রসঙ্গে ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, ‘রাজ্য সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। সোমবার সমস্ত স্কুল-কলেজ-অফিস খোলা থাকবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহণও চালু থাকবে। কেউ জোরজবরদস্তি করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও দাবি করেছেন, কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া পুরভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তাঁর কথায়, প্রায় ১১ হাজার বুথের মধ্যে খুব বেশি হলে ১৫টি বুথে গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। এইসব গোলমালের দায়ও পার্থ বিরোধী দল এবং মিডিয়ার একাংশের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। পার্থ বলেন, বিরোধীরা এ রাজ্যের মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওরা জানে, মানুষ ওদের সমর্থন করে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ওপরেই মানুষের আস্থা আছে।
আরও পড়ুন: WB Civic Polls: প্ররোচনা সত্ত্বেও ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ, দাবি পার্থর
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুরভোটে রাজ্যজুড়ে হিংসা হয়েছে। অবাধে ভোট লুঠ হয়েছে। পুলিসকে সামনে রেখে তৃণমূল গায়ের জোরে ভোট করিয়েছে। ১০৮টি পুরসভায় ৯০০টিরও বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। শাসকের বিরুদ্ধে বলতে গেলেই ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ফোন। মোবাইল না থাকার কারণে অনেক অভিযোগ সামনে আসছে না। সাংবাদিকরাও আক্রান্ত হয়েছেন। বিজেপি সাংসদদের ঘিরে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’