ফের জলপাইগুড়ি মাল নদীতে হড়পা বানের বিভীষিকা। বুধবারের পর শনিবার বিকেলে ফের হড়পা বান নেমে এলো মাল নদীতে। তবে এদিন কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মাল নদীতে যে মাঝেমধ্যে এরকম ঝুঁকির পরিস্থিতি তৈরি হয় তার প্রমান পাওয়া গেল শনিবার। উল্লেখ্য গত ৫ অক্টোবর মাল নদীতে হরপা বান শুরু হয়। সেই সময় নদীতে চলছিল প্রতিমা নিরঞ্জন। আচমকা ওই হড়পা বানে ভেসে যান অনেকেই। ওই দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়। ১৩ জন গুরুতর জখম হয়ে মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
এদিকে শনিবারের ওই ঘটনার পর রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মাল পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা। প্রসঙ্গত বুধবার হড়পা বানের পর বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছিল, হড়পা বান ম্যানমেড। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে কড়া ভাষায় বিজেপি নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তোলেন স্থানীয় পুরপ্রধান। তাঁর দাবি, হরপা বান ম্যানমেড কিনা এসে দেখে যাক বিজেপি নেতৃত্ব। এই সব ঘটনা আসলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বিজেপি সহ বিরোধীরা হড়পা বান নিয়ে রাজনীতি করছে।
অবশ্য মালবাজারে ভয়াবহ দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে জলপাইগুড়িতে পুজো কার্নিভাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয় বুধবারের মর্মান্তিক ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকাংশেরই মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় কার্নিভাল করা ঠিক হবে না। তাই তা বন্ধ থাকছে। পুজো কমিটিগুলিকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল।
যদিও তার আগে কার্নিভাল বাতিল করার আবেদন জানিয়েছিলেন জেলার বিশিষ্টজনেরা। শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের তরফে গৌতম গুহরায় বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, বুধবার রাতের ঘটনার পর কার্নিভালের মতো অনুষ্ঠান করা অমানবিক হবে। আমাদের আবেদন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন শুক্রবারের কার্নিভাল বন্ধ রাখুক। তবে আনন্দের উদযাপন বন্ধ রাখলেও বুধবারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে শনিবার ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এবার বিরোধীদের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানালেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।