গোটা রাজ্য জুড়ে রবিবার যখন ঘরে ঘরে পূজিত হচ্ছেন মা লক্ষ্মী, তখন কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন ভিন্ন ছবি মালবাজারে। লক্ষ্মী পূর্ণিমাতে যেন অমাবস্যার অন্ধকার নেমে এসেছে মালবাজারে। গত বুধবার প্রতিমা নিরঞ্জন চলাকালীন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। তাঁদের মধ্যে একজন মালবাজার শহরের নর্থ কলোনির বাসিন্দা, নাম সুস্মিতা পোদ্দার। বাড়ির মেয়েকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ সুস্মিতার পরিবার।
লক্ষ্মী পুজোর দিন, অথচ ঘরে নেই ঘরের লক্ষ্মীই। মেয়েকে সদ্য হারানো শোকাতুর মা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন বারবার। সুস্মিতার মা, দাদা, দিদি সহ আত্মীয়রাও শোকাহত। প্রতিবছর লক্ষ্মী পুজোতে পুজোর জোগাড় থেকে শুরু করে আলপনা আঁকা, সমস্তটাই নিজের হাতে সামলাত সুস্মিতা। কিন্তু এবার আর সুস্মিতা নেই, তাই বাড়িতে হচ্ছে না পুজো। তবে আদৌ এই পোদ্দার বাড়িতে কোনও দিন পুজো হবে কিনা জানা নেই কারও।
আরও পড়ুন: SSC Protest: দুর্গাপুজোর মতোই লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের, আন্দোলন পড়ল ৫৭৪ দিনে
একই অবস্থা হড়পা বানে প্রাণ হারানো অন্যান্যদের পরিবারগুলিতেও। গতকাল সুস্মিতার বাড়িতে হয়েছে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। লক্ষ্মী পুজোর দিনই খোলা হচ্ছে সেই প্যান্ডেল। তাই পুজোর দিন সুস্মিতার শোকে বাকরুদ্ধ ও শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। সুস্মিতার মা বীণা পোদ্দার জানিয়েছেন, মেয়ে যে খাবার খেতে ভালোবাসতো, তা সবকিছুই আনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাড়িতে। লক্ষী পুজোতে বাড়িতে ফল কাটা থেকে শুরু করে আলপনা দেওয়া, সমস্তটাই সুস্মিতা নিজের হাতে করত। এরপর বাড়িতে পুজো আর হবে না।