বগটুই: রামপুরহাট (Rampurhat) গণহত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রামপুরহাটে পৌঁছলেন সিবিআইয়ের (CBI) উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের ডিআইজি (DIG) সুধাংশু কুমার খারে এসে পৌঁছেছেন পান্থশ্রী গেস্টহাউসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে। লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে সিবিআই হেফাজতে। স্বাভাবিকভাবেই অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরি হতে পারে। তার জন্য কলকাতা থেকে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) এসে পৌঁছল রামপুরহাটে। অস্থায়ী ক্যাম্প পান্থশ্রী এখন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে।
এদিকে লালন শেখের মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার রাতেই বগটুই (Bogtui) মোড়ে অবরোধ বসেছিল তার পরিবার এবং গ্রামের মানুষজন। লালনের মৃত্যুর খবর পেয়ে সোমবার রাতেই অবরোধে বসেন তাঁরা। লালন শেখের স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে জড়িত রয়েছে খোদ সিবিআই (CBI)।
আরও পড়ুন: Murshidabad TMC: দুষ্কৃতীদের মারে জখম তৃণমূল বুথ সভাপতি, আক্রান্ত এক কর্মীও
সিবিআই হেফাজতে থাকা রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে অন্যতম মুল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থমথমে বগটুই (Bogtui) গ্রাম। তবে ঘটনার পর থেকেই বগটুই জুড়ে রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। আজ রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ মর্গে লালন শেখের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত (Post Mortem) করা হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিবিআই হেফাজতে এই মৃত্যু নিয়ে রয়েছে তুমুল ধোঁয়াশা। অস্থায়ী ক্যাম্পের একটি বাথরুমের শাওয়ারের ভাঙা অংশ থেকে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় লালনের দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু, পাশে একটি উলটানো বালতি পড়ে থাকলেও তার পা ছিল মাটিতে। যা সন্দেহ বাড়িয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রয়োজনে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাব আমরা। বগটুইয়ের ঘটনার পুরোটাই জানত লালন। তবে অবাক ব্যাপার! লালন মারা গেল কীভাবে। এটাই আমাদের কাছে বড় প্রশ্ন?
মৃত্যুর সঠিক কারণ কী তা জানা যাবে ময়নাতদন্তেই। তবে প্রশ্ন উঠছে আর একটি বিষয় নিয়েও। লালন শেখের রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত কে করবে, নিরপেক্ষ কোনও সংস্থা? মৃত্যু হয়েছে সিবিআই হেফাজতে। তারাই কি ফের এর তদন্ত করবে?