কাতার: ফুটবল বিশ্বকাপের (World Cup) ইতিহাসে সেই প্রথম দিক থেকেই অংশ নিয়েছে আফ্রিকার (Africa) দেশগুলো। কিন্তু কাপ জিতেছে হয় ইউরোপ (Europe) অথবা দক্ষিণ আমেরিকার (South America) দেশ। আফ্রিকার দেশ বড়জোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। এই প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মরক্কো (Morocco)। সেই দেশের কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই (Walid Regragui) বড় কথা বলে দিলেন। তিনি বললেন, আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের বিশ্বকাপ জিতবে কোনও আফ্রিকার দেশ।
একথা বলার পিছনে কারণটাও ব্যক্ত করেছেন অ্যাটলাস লায়নদের (Atlas Lions) কোচ। ২০২৬ সালে আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকো, এই তিন দেশ পরবর্তী বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। ওই টুর্নামেন্টের ফর্ম্যাট যাচ্ছে বদলে। ৩২-এর বদলে খেলবে ৪৮টি দেশ। এখন আফ্রিকা থেকে মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে আফ্রিকার পাঁচটি দেশ। এরপরের বার সেটা বেড়ে হবে ৯টি। রেগরাগুই বলছেন, ন’জন অংশগ্রহণকারী হলে আমরা শিখব। ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একটা আফ্রিকান দেশ বিশ্বকাপ জিতবে। আমরা সবাই শিখতে পারার জন্যই সেটা হবে।
Lionel Messi: আজ ফাইনাল, বাবা মেসিকে আবেগঘন চিঠি ছেলে থিয়াগোরআরও পড়ুন:
ফ্রান্স (France) নিবাসী মরক্কোর কোচ আরও বলেন, আমাদের আর একটা স্তর পেরতে হবে। পরিশ্রম এবং জেদের সাহায্যে আমরা গড়ে উঠব। এবং এই ডিএনএ শুধু মরক্কো নয়, তৈরি হচ্ছে গোটা মহাদেশ জুড়ে।
মরক্কোর সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তা আদৌ ফুল বিছানো ছিল না। গ্রুপ পর্বের বাধাই তারা পেরবে, এটাও কেউ আশা করেনি। কারণ আশরাফ হাকিমি, হাকিম জিয়েশদের গ্রুপে ছিল গতবারের রানার্স ক্রোয়েশিয়া (Croatia) এবং ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বর দেশ বেলজিয়াম (Belgium)। শুধু পরের রাউন্ডে যাওয়াই নয়, গ্রুপের শীর্ষে থেকে নক আউটে গিয়েছে তারা। এরপর হারিয়ে দিয়েছে স্পেন (Spain) এবং পর্তুগালের (Portugal) মতো শক্তিধর দলকে। নিঃসন্দেহে গোটা আফ্রিকা মহাদেশের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে তারা।
 ইতিহাসে সেই প্রথম দিক থেকেই অংশ নিয়েছে আফ্রিকার (Africa) দেশগুলো। কিন্তু কাপ জিতেছে হয় ইউরোপ (Europe) অথবা দক্ষিণ আমেরিকার (South America) দেশ। আফ্রিকার দেশ বড়জোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। এই প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মরক্কো (Morocco)। সেই দেশের কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই (Walid Regragui) বড় কথা বলে দিলেন।){kind=link}