কলকাতা: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখর (Lalan Seikh) মৃত্যু-কাণ্ডে নয়া মোড়। সোমবার সিবিআইয়ের (CBI) দুই অফিসার সহ মোট চার (Four) জনকে সাসপেন্ড (Suspended) করা হল। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন বোলপুরের (Bolpur) অস্থায়ী ক্যাম্পে লালনের পাহারার দায়িত্বে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। পাশাপাশি এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্টও জমা দিয়েছে সিবিআই।এদিকে, সিবিআই অফিসারদের সাসপেন্ড করা নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
সিবিআই সূত্রের খবর, এই অফিসারদের উপস্থিতিতে কী ভাবে একজন অভিযুক্তের মৃত্যু হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। আপাতত বগটুই-কাণ্ডের (Bogtui) তদন্তের ভারপ্রাপ্ত সিবিআই (CBI) কর্তা, ভাদু শেখের (Bhadhu Seikh) হত্যা মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এবং আরও দু’জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ইনস্পেক্টর রাহুল প্রিয়দর্শী, ডিএসপি বিলাশ মাদগুঠ এবং দু’জন কনস্টেবল। লালনের মৃত্যুর সময় সিবিআই ক্যম্পের দায়িত্বে ছিলেন এই চারজন। তবে, আর এক সিবিআই কর্তা সুশান্ত ভট্টাচার্যের কোনও ভূমিকা খুঁজে পাওয়া যায়নি লালনের মৃত্যুর ঘটনায়।
আরও পড়ুন: Jhalda Municipalitry Update: ঝালদা পুরসভায় নতুন চেয়ারম্যান হলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়
সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বগটুই-কাণ্ড এবং ভাদু শেখ খুনের মামলায় সোমবারই চার জন নতুন অফিসারকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গণহত্যার প্রধান অভিযুক্ত ছিল লালন শেখ। নিহত তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল এই লালন। গত বছরে ২১ মার্চ রাতে বগটুইয়ে খুন হন ভাদু। সেই রাতেই একাধিক গ্রামে তাণ্ডব চলে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে সোনা শেখ নামে এক জনের বাড়িতে নারী, পুরুষ এবং শিশু মিলিয়ে সাত জনের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল ভাদু।প্রায় ন্য় মাস পর ৪ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ড থেকে সিবিআই লালনকে গ্রেফতার করে। তখন থেকে সে রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পে সিবিআই হেফাজতেই ছিল। ১২ ডিসেম্বর ক্যাম্পের শৌচালয়ে লালনের ঝুলন্ত দেশ উদ্ধার হয়। লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি এই ব্যাপারে সিবিআই অফিসারদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন।