Manas Bhunia: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না মেটালে মিউজিক থেরাপি, কেশপুরে হুঁশিয়ারি মন্ত্রী মানসের

মেদিনীপুর: অভিষেকের সভার আগেই কেশপুরে দলীয় কোন্দল মেটাতে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল (TMC Inner Clash) মেটাতে মেদিনীপুরের প্রবীণ নেতা মানস ভুঁইয়া (Manas Bhunia) কর্মী-সমর্থকদের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামিয়ে চুপ থাকুন। না হলে শোনানো হবে মিউজিক। এমনই হুঁশিয়ারি ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রীর।

আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর (Keshpur) ব্লকের আনন্দপুরে জনসভা করবন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত কেশপুরে এই জনসভার আগে বৈঠক করে এলাকার কর্মীদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিলেন নেতারা। মেদিনীপুর শহরে কেশপুরের ও জেলার কর্মীদের ডেকে রাজ্য নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, গোষ্ঠীকোন্দল থামান। দলের কথা বাইরে বলা চলবে না। নিয়মের অন্যথা হলে যত বড়ই নেতা হোক না কেন, শোনানো হবে মিউজিক। তবে কী এই মিউজিক? সাংবাদিকদর প্রশ্নের উত্তরে মানস ভুঁইয়া বলেন, এটা পলিটাক্যাল মিউজিক থেরাপি। যখন প্রয়োগ করা হবে, তখন বুঝতে পারবেন।

আরও পড়ুন:Weather: এক ধাক্কায় পারদ পতন ৩ ডিগ্রি, ফের কি জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে, কী বলছে হাওয়া অফিস

কেশপুরের আনন্দপুরের মাঠে অভিষেকের এই বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছে, যার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। তৃণমূলের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হবে এই সমাবেশে। কিন্তু এরইমাঝে কেশপুর ও আনন্দপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চরম পর্যায়ে রয়েছে। গত দু’মাসে বহুবার বোমাবাজি সহ রক্তারক্তির মতো ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে ২ লক্ষ মানুষের সমাবেশ করার জন্য কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন করে তৃণমূল। দীর্ঘ চার ঘণ্টার এই বৈঠকে জেলা নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকদের এমনই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

সেখানেই মানস বলেন, দলের মধ্যে কোনও সমস্যা হলে দলের সঙ্গে কথা বলে মেটাতে হবে। বড় সংসার আমাদের। সেখানে খুনসুটি হতে পারে। তবে আঁচড়াআঁচড়ি হবে না। এরপর থেকে আমরা শপথ নিচ্ছি কোন্দল বাদ দিয়ে বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করব। এর অন্যথা করলে এবং দলের কথা বাইরে বললে, তাঁকে মিউজিক শুনতে হবে এবার।

তৃণমূলের জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পাঠাক আর যাই চক্রান্ত করুক তৃণমূলের কর্মসূচিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। কেশপুরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে নিয়ে অজিত মাইতি বলেন, সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।