হায়দরাবাদ: এক স্বামী এবং দুই স্ত্রীর গল্প। সেই গল্পের পরিণতিও ভয়ঙ্কর। দুই স্ত্রীকে (Wife) নিয়ে বাড়িতেই মদের আসর বসিয়ে ছিলেন পেশায় অটোচালক সুরেশ। মদের নেশায় আচ্ছন্ন (Drunk) হয়ে পড়েন তিনজনই। একসময় ঘুমে তলিয়ে যান সুরেশ। দুই স্ত্রী এরপর স্বামীকে (Husband) মেরে ফেলার ছক কষেন। ঘুমন্ত অবস্থাতেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় সুরেশকে। তাঁর মুখে বালিশ চাপাও দিয়ে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, সুরেশের দেহ বস্তাবন্দি করে বাড়ির অদূরে ঝোপে ফেলে আসেন। পরের দিন প্রথম পক্ষের স্ত্রী রেণুকা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে কে বা কারা খুন করে মৃতদেহ বস্তায় পুরে ফেলে দিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ (Police) মৃত্যু রহস্য কিনারা করে। রেণুকা এবং সুরেশের দ্বিতীয় স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশ আসল তথ্য জানতে পারে। দুই স্ত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনা হায়দরাবাদের গান্ধীনগরের।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরেশ ২০১৬ সালে রেণুকার প্রেমে পড়েন। সে বছরেই তাঁরা বিয়েও সেরে ফেলেন। দুজনেই প্রায়ই মদ্য পান করতেন। একসময় মদের নেশায় স্বামীকেও ছাড়িয়ে যান রেণুকা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে রেণুকা দিনের বেশির ভাগ সময়ই মদের ঠেকে কাটাতে শুরু করেন। তা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া ও মারামারি হত রেণুকার। এরকম এক মদের ঠেকেই রেণুকার সঙ্গে আলাপ হয় এক যুবতীর। রেণুকা তাঁকে বাড়িতেও নিয়ে আসেন। দুই তিন দিনের মধ্যেই ওই যুবতীর সঙ্গে নিজের স্বামীর বিয়েও দিয়ে দেন রেণুকা। কিন্তু কেন এই বিয়ে তার কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি।
আরও পড়ুন: Alphabet ChatBot Bard: বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য, ১০০ বিলিয়ন ডলার আর্থিক ক্ষতি গুগলের
বিয়ের পর থেকে গত ১৫ দিন ধরে সুরেশরা তিন জন একই ছাদের তলাই থাকছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেয়ে সুরেশ রেণুকাকে ছেড়ে দিতে চান। তা নিয়েও রেণুকা-সুরেশের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই মধ্যে রবিবার রাতে সুরেশ তাঁর দুই স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতেই মদের আসর বসান। একসময় তিনি যখন নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তখন দুই স্ত্রী মিলে তাঁকে খুন করেন বলে পুলিশ জানান।