কলকাতা: এবার থেকে আন্দোলনের নামে আর চলবে না ভাঙচুর। লুট, ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা আটকাতে আরও কঠোর হচ্ছে রাজ্য সরকার। আইন সংশোধন করে সরকারি সম্পত্তির পাশাপাশি নাগরিকদের সম্পত্তিহানি আটকানোর উপরেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ১৯৭২ সালের মেন্টেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার আইনের একটি সংশোধনী বিল আনা হয় বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Finance Minister Chandrima Bhattyacharya) সেই বিলটি পেশ করে বলেন, কিছু অসামাজিক ব্যক্তি নিজস্ব উদ্দেশ্য সাধনের জন্য বা আন্দোলনের নাম করে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্টের ঘটনা ঘটায়। সেই কারণেই অপরাধীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উপযোগী সংশোধনী আনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি হোক বা বেসরকারি সম্পত্তি হোক আন্দোলনের নামে সেগুলির উপর ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম কখনওই বরদাস্ত করবে না সরকার।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বন্ধ ও বঙ্গভঙ্গ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি মমতার
ওই সংশোধনী বিলে বলা হয়েছে, এই ধরনের সম্পত্তিহানির ঘটনায় আদালতের নির্দেশ ক্রমে সরকার ওই ঘটনায় দোষী ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকদের দিয়ে ওই সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করানো হবে। পরে দেওয়ানি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ওই সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এজন্য একটি পৃথক তহবিল গঠন করার কথাও বলা হয়েছে বিলে।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যে বনধ সংস্কৃতির বিরোধিতা করে আসছেন। তাঁর মতে, বনধ নামে অনেক সময়ই সরকারি যে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়। এসব বন্ধ করার জন্যই তিনি অনেক ইন ধরেই আইন আনার কথা বলছিলেন। অবশ্য বিরোধীনেত্রী থাকার সময় তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস এবং তৃণমূল রাজ্যে অনেক ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করেছে। বাম জমানায় যখন তখন বনধ বা ধর্মঘট ডেকেছে তৃণমূল। সে সব ঘিরে ধ্বংসাত্মক এবং হিংসাত্মক ঘটনাও ঘটেছে। সিঙ্গুর আন্দোলন পর্বে ২০২৬ সালে শেষ দিকে মমতার উপস্থিতিতে বিধান সভায় তৃণমূল ব্যাপক তান্ডপ চালায়। দলীয় বিধায়করা বহু মূল্যবান আসবাবপত্র ভেঙে চুরমার করেন। সেই বিধানসভাতেই মঙ্গলবার তৃণমূল সরকার আন্দোলনে নামে, সরকারি বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কড়া আইন আনার জন্য বিল পাশ করল।