মালদহ: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের ছায়া এবার মালদহে। হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশে চাকরি গেল (Job Cancle) মালদহের তৃণমূল নেতার দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। বিষয়টি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এলাকাবাসীর দাবি, মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। আদালতের এই রায়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সধারণ মানুষ।মালদহে নিয়োগ দুর্নীতির এই খবর সামনে আসার পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেব।সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগে নিয়োগ দুর্নীতির একের পর এক ঘটনা সামনে আসায় তৃণমূল (TMC) চাপে। বিজেপির কটাক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে শাসক দলের সাফাই, দল দুর্নীতি-গ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে না। বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করবে।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) রায়ে গ্রুপ সি (Group C) পদে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি যায়। কোর্টের রায়ে বলা হয়, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা আর স্কুলে যেতে পারবেন না। তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তড়িঘড়ি সেই নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। তালিকা সামনে আসতেই দেখা যায়, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল নেতাদের পরিবারের সদস্যদেরও নাম রয়েছে ওই তালিকায়।তাতে মালদহ জেলার উত্তর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে মাম্পি দাস,শম্পা দাস এবং জামাই বিপ্লব দাসের নাম রয়েছে।মাম্পি দাস হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুল, শম্পা দাস হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয় এবং বিপ্লব দাস কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলে ক্লার্ক পদে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন : Group C Scam | গ্রুপ সি-তে চাকরি হারানোর তালিকায় নাম পুলিশ সুপারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের
উত্তর রামপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গুল মোহাম্মদের অভিযোগ, প্রকাশ দাস তৃণমূল পার্টি করেন, সেই কারণে জোর খাটিয়ে টাকার বিনিময়ে নিজের মেয়ে-জামাইদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর ভাগ্নেরও চাকরি হয়েছিল, কিন্তু তা আগেই বাতিল হয়েছে।গুল মোহাম্মদের বক্তব্য, ‘হাইকোর্টের এই রায়ে আমরা খুশি।’
স্থানীয় তৃণমূল কর্মী কলাবতী দাস বলেছেন, ‘ভালো ভালো ছেলে মেয়েরা চাকরি পাচ্ছে না। আর এরা টাকা দিয়ে চাকরি করে নিয়েছে। তৃণমূলের নাম ব্যবহার করে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। যা হয়েছে, খুব ভালো হয়েছে।’