মেদিনীপুর: নয় জেলাকে নিয়ে রাজ্য স্তরের আদিবাসী একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হল ফাঁকা। এই হাল দেখে বুধবার মঞ্চ থেকে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিন মন্ত্রী। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কোনও ছবি না থাকায় বেদম চটে যান জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া (Manas Bhunia)। উদ্যোক্তা আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের অফিসারদের কড়া ধমক দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এত বড় কর্মসূচি। মুখ্যমন্ত্রীর নামে দুহাজার কথা বলছি এখানে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ছবি নেই। কার গাফিলতি, জেলাশাসক নিশ্চয়ই দেখবেন।
এই আদিবাসী নাটক প্রতিযোগিতা বৃহস্পতিবারও চলবে। নয়টি আদিবাসী প্রভাবিত জেলা থেকে আদিবাসীরা নাটক করতে এসেছেন। এদিন প্রদ্যোত স্মৃতি সদনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ছাড়াও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারাণি টুডু, বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার প্রমুখ।
হল ফাঁকা দেখেই রেগে যান বীরবাহা। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দুই হাত ভরে জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের জন্য বিভিন্ন উপহার দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমরা তা গ্রহণ করার জায়গায় নেই। তা না হলে আজ এই হল ফাঁকা থাকত না। এর দায় কিন্তু আমাদেরই। একটা কিছু হলে আদিবাসীরা ভিড় করে। আজকে ভিড় নেই কেন।
আর এক মন্ত্রী সন্ধ্যারাণি বলেন, বিষয়টা সত্যিই দুঃখের। ভহিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আদিবাসীদের সতর্ক থাকতে হবে।
প্রবীণ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন, এই ঘটনায় আমি ব্যথিত। জেলার আদিবাসী উন্নয়ন দফতর আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করলে এই দৈন্য প্রকাশ পেত না। এই দফতরকে সতর্ক হতে হবে। আমাদের সরকারকে অপমান করার কোনও অধিকার কারও নেই। মন্ত্রী বলেনস আচ্ছা টুনি বল খেলতে গেলে পাঁচ হাজার লোক জড়ো হয়ে যায়। মেদিনীপুরের আবেগকে অবহেলা করবেন না। প্রশাসনের কর্তাদের মেদিনীপুরের ইতিহাসটা জানা দরকার ছিল। এই কাণ্ড যারা করেছে, তাদের আমি চিনি। মঙ্গলবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানস ভুঁইয়াকে বলেন, আদিবাসীদের নিয়ে কিছু বলবেন না। তারপরই এদিন ঘটল এই ঘটনা।