কলকাতা: দুর্নীতি ইস্যুতে এবার পাল্টা রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করল তৃণমূল। সোমবার জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী আকণ্ঠ দুর্নীতিতে যুক্ত। ওঁর মুখোশ খোলা দরকার। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণ হিসাবে বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সম্মান পাচ্ছেন না। অনেক আগে থেকেই তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর শাহের সঙ্গে ফাইনাল কথা হয় শুভেন্দুর। ২৭ নভেম্বর বিধায়ক পদ ছাড়েন। ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন।’ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘সুদীপ্ত সেনের টাকা কাঁথি পুরসভাতে গিয়েছে না যায়নি? আমি প্রমাণ দিচ্ছি। ড্রাফটে টাকা দিয়েছে। বিরোধী দলনেতাকে কেন ডাকা হচ্ছে না? ও একটা প্রতিষ্ঠিত চোর।’
উল্লেখ্য, অভিষেকের সিবিআই হাজিরা নিয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন ‘দেখ কেমন লাগে’। সেই মন্তব্যেরও পাল্টা দেন কুণাল। এদিন তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন পছন্দ না হলে উত্তর দেব না কেন বলছেন বিরোধী দলনেতা? উত্তর দিতে হবে। সবাই চোর, আর ও শুধু সাধু। ও একজন প্রতিষ্ঠিত তোলাবাজ। মিরজাফরের থেকেও বেশি বিশ্বাসঘাতক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এজেন্সির মোকাবিলা করছে, ও ভয় পায় না। শুভেন্দু অধিকারী কেন রক্ষাকবচের জন্য হাইকোর্টে যাচ্ছেন?সব মানুষের অধিকার আছে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার। বিরোধী দলনেতা কটা মামলায় হাইকোর্টে গিয়েছেন? অভিষেকের চেয়ে বেশি মামলায় হাইকোর্টে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Birbhum Incident | দুবরাজপুরে বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল কর্মীর বাড়ি
এগরা-বজবজের ঘটনায় শুভেন্দুর মন্তব্য়েরও পাল্টা দিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘বাজি কারখানা থেকে বারুদ উদ্ধার হয়েছে। সেখান থেকে কি বিরিয়ানির মশলা উদ্ধার হবে?এটা একটা শিল্প। বাজি মানেই বোমা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন, এদিকে মণিপুরের ঘটনায় তো জবাব চাওয়ার সাহস নেই। সেই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী তাঁর রাজনৈতিক বাবা অমিত শাহকে পদত্যাগ করতে বলুন। উত্তরপ্রদেশে একটি ঘটনার জন্য রাজ্যজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দুনিয়ার যত দুর্নীতিগ্রস্ত আছে, তাদের সকলেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে।