কলকাতা: সময় যত এগোচ্ছে মৃতের সংখ্যা ততই বেড়ে চলেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৮। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা বললেও কম বলা হয়। করমণ্ডলের এই দুর্ঘটনা কাকতালীয় কিনা জানা নেই, তবে ২০০৯ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারিও করমণ্ডল (Coromandel Express) দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সেই দিনটাও ছিল শুক্রবার, আর দুর্ঘটনাস্থল সেই ওড়িশা।
২০০৯ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় ট্রেনের প্রায় ১৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ১১টি স্লিপার ক্লাসের বগি ও বাকি ২টি জেনারেল ক্লাসের। মৃতের সংখ্যা ১৬ আর আহত যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৬১। আর ২ জুন, শুত্রবার দুর্ঘটনার ভয়াবহতা অনেকটাই বেশি।
আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে মঙ্গলকোটের ২ রাজমিস্ত্রি, খোঁজ নেই একজনের
তবে করমণ্ডল-সহ তিনটি ট্রেন কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটছে না। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেলের পদস্থ অফিসারেরা জানাচ্ছেন, কী করে দুর্ঘটনার ঘটেছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত হলে তবেই বোঝা যাবে যে কেন এবং কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেসই তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে আগে চলতে-থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইন থেকে ছিটকে পড়ে পাশের ডাউন লাইনে ও নয়ানজুলিতে। সেই লাইন দিয়ে তখন আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বেলাইন হওয়া কামরার সঙ্গে ধাক্কা লেগে সেই ট্রেনটিরও দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়৷
তবে দুর্ঘটনার কোনও কারণই নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হলে এর সঠিক কারণ জানা যাবে। আপাতত অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে হতাহতদের উদ্ধারে এবং ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উপর।