পুরুলিয়া: কুড়মি (Kurmi) সমাজ দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করছে। তারা আগেই জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এখন তাদের একটা অংশ চাইছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Vote) কুড়মিরা লড়বে। তাই নিয়েই মতো বিরোধ দেখা দিয়েছে। দাবি আদায়ের লড়াইয়ের লক্ষ্য এক হলেও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুড়মিদের একতা নিয়ে সংশয় থেকে গেল। রবিবার পুরুলিয়া (Purulia) শহরের একটি বেসরকারি লজে ঘাঘরঘেরা (Ghaghorghera) কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এই কমিটি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে জনসংযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রাম জাগরণ কর্মসূচি ও জেল বন্দি নেতাদের আইনি লড়াইয়ের আর্থিক সহায়তার জন্য জঙ্গলমহলের প্রতিটি কুড়মি পরিবার থেকে অর্থ সংগ্রহ করার একটা প্রক্রিয়া চালু করে। রবিবার এই আলোচনার পর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা সাফ জানিয়ে দেন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে। যদিও খুব তাড়াতাড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এমনই জানিয়েছেন, ঘাঘরঘেড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুদীপ রায় মাহাতো।
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত আন্দোলনকারী সংগঠন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলেই জানিয়েছেন। গতকাল বিকেল থেকে একটি বৈঠক শুরু হয় ৪ জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে। আগামীকাল জানা যাবে সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত। এমনই জানিয়েছেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিতপ্রসাদ মাহাতো।
আরও পড়ুন: Basirhat | TMC | অভিষেকের সভার আগেই সন্দেশখালিতে পুড়ল তৃণমূলের অফিস, কাঠগড়ায় সিপিএম-বিজেপি
গত কয়েক মাস ধরে কুড়মি সমাজ তাদের তফসিলি জাতি হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন করছে জঙ্গলমহলে। কলকাতাতেও তারা গত কয়েকমাসে দু’তিন বার বিশাল মিছিল করেছে একই দাবিতে। সম্প্রতি জঙ্গলমহলে কুড়মিদের আন্দোলন আরও গতি পেয়েছে। এর আগে কুড়মিরা টানা চার দিন রেল অবরোধ করায় জঙ্গলমহলে রেলের বিভিন্ন ডিভিশনে ট্রেন চলাচল মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিল। ইদানিং কুড়মিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকে ঘেরাও করে তাদের দাবি দাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইছে। কয়েকদিন আগে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের খড়্গপুরের বাংলো ঘেরাও এবং ভাঙচুর করে কুড়মিরা। দিলীপের অভিযোগ ছিল ওই ঘটনার পিছনে শাসকদলের মদত রয়েছে। পাল্টা জনসংযোগ যাত্রায় নেমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কুড়মিদের আবারও দিলীপ ঘোষের বাড়ি ঘেরাও করা উচিত।এরই মধ্যে গত ২৬ মে গড় শালবনিতে অভিষেকের গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই তাঁর কনভয়ে হামলা চলে। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা-সহ অনেক তৃণমূল নেতা কর্মীর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।