Sunday, June 22, 2025
Homeচতুর্থ স্তম্ভইন্ডিয়া জোটে কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন?

ইন্ডিয়া জোটে কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন?

Follow Us :

রাত পোহালে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। যে আবেগ আর সাড়া জাগানো অনুভূতি নিয়ে বিরোধীদের এই জোটের সূত্রপাত হয়েছিল, তা আপাতত ভ্যানিশ। উল্টোদিকে এই জোটের উঠে আসায় বিজেপি এবং তাদের শরিক দলকে যতটা বিব্রত বা নার্ভাস দেখাচ্ছিল তাও উধাও, বরং মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় আর রাজস্থান জয়ের পর তারা অনেক সুসংহত, অনেক কনফিডেন্ট। তাঁদের প্রচারমুখ নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, বিরোধীদের জোট আসলে এক পাঁচমিশেলি ঘোঁট এবং মানুষ এই জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা বলতে তিনি আধঘণ্টা খরচ করেছেন। কেন? যিনি বিরোধীদের সম্পর্কে দু’ একটা চুটকি দিয়েই ছেড়ে দেন, খানিক খিল্লি করেই বিকাশ আর উন্নয়নের কথা বলেন তিনি আধা ঘণ্টা ধরে এই ইন্ডিয়া জোট যে তিন রাজ্যের নির্বাচনে না কামিয়াব রহা, সেটা বোঝাতে বসলেন কেন? এমনি এমনি তো নয়। আসছি সে কথায়। আগে বলা যাক এই ইন্ডিয়া জোট হঠাৎ তার গতি হারাল কেন? যতটা সাড়া জাগিয়ে তার উত্থান, আজ সেই সাড়া নেই কেন? প্রথম দায়িত্ব কংগ্রেসের। আজও বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেসই একমাত্র দল যারা ডাবল ডিজিটের ভোট শতাংশ পায়। তাদের কাছে কমবেশি ২০ শতাংশ ভোট এখনও আছে, কমিটেড ভোট, অন্য বিরোধী দলের কারও কাছেই সিঙ্গল ডিজিটের উপরে ভোট নেই। বিজেপির লক্ষ্য কংগ্রেসমুক্ত ভারত তৈরি করা, কারণ তাদের লড়াই কেবল একটা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়, তাদের লড়াই এক দর্শনের বিরুদ্ধে, একটা আইডিয়ার বিরুদ্ধে। যে দর্শন যে আইডিয়া কেবল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্যই গড়ে ওঠেনি, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আগামী ভারতবর্ষের যে রূপরেখা তৈরি করেছিলেন, যে আদর্শ আর দর্শন উঠে এসেছিল সেই প্রক্রিয়ায়, সেটার ঠিক উল্টোদিকে দাঁড়িয়েছিল আরএসএস, হিন্দু মহাসভা। পরে জনসঙ্ঘ বা বিজেপি সেই আরএসএস হিন্দু মহাসভারই উত্তরাধিকারী। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় কেবল কংগ্রেস নয়, কংগ্রেস, সমাজতন্ত্রী, কমিউনিস্ট, সমাজগণতন্ত্রী, উদার গণতন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ছিল এই আরএসএস হিন্দু মহাসভার চিন্তা, দর্শন। সেই তখন থেকেই সংঘাত ছিল এই দুই ধারার। আজ বিজেপি আরএসএস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েই সেই বহুস্বরকে, দেশের সংবিধানকে, উদার গণতন্ত্রকে, ধর্মনিরপেক্ষতাকেই শেষ করতে চায়, কংগ্রেস সেই আইডিয়ার এক প্রতীক। মানে কংগ্রেসকে শেষ করলেই ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুস্বর, উদার গণতন্ত্র শেষ হয়ে যাবে এমন না হলেও তার ভিত্তি নড়িয়ে দেওয়া যাবে এবং এরপর সেই আইডিয়াকে ডিফেন্ড করা কঠিন হয়ে পড়বে এটা বিজেপি জানে। বিরোধীরা সেটা বুঝতে পেরেছে কিন্তু তারা তাদের দায়িত্ব নিয়ে সচেতন নয়।

সেই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার প্রথম নম্বরেই আছে কংগ্রেস। এক সাড়া জাগানো ভারত জোড়ো যাত্রার পরেই এক বিরোধী জোট তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে কোথায় তাদের সর্বশক্তি নিয়োজিত হবে সেই জোটকে নিয়ে এগিয়ে চলার জন্য, তা নয়, তাঁরা নেমে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে। তাঁদের মাথায় এই জোটে তাঁদের বার্গেনিং পাওয়ার বাড়ানো, তাঁরা যদি তিনটে রাজ্যেও জিতে যান তাহলে তাঁরাই আসনভাগের ব্যাপারে শেষ কথা বলার অধিকারী হবেন। কাজেই জোট ইত্যাদি শিকেয় তুলে তেনারা চার রাজ্যের নির্বাচনী জোট নিয়েই মেতে উঠলেন। কেবল তাই নয়, তিন রাজ্যের নির্বাচনে তাঁরা স্বধর্ম ছেড়ে পরধর্মে আসক্ত হয়ে পড়লেন। কমলনাথ মহাকাল মন্দিরে আরতিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে গেলেন, ছত্তিশগড়ে এত ভালো কাজ করার পরেও বাঘেল সাহেব রাম তীরথ-এর মাহাত্ম্য বোঝাতে থাকলেন। রাহুল গান্ধী জনসভায় কংগ্রেসও যে হিন্দু, তাঁরাই যে প্রথম রামলালার মন্দিরের দরজা খুলে দিয়েছিলেন সেই ইতিহাস মনে করালেন। আর সেই হিন্দুত্বের পিচে সেঞ্চুরি হাঁকানো আরএসএস বিজেপি অনায়াসে এইসব হাফ হিন্দুত্ববাদীদের ঘোল খাইয়ে বাড়ি পাঠাল। চার রাজ্যের কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারের সময়ে একবারের জন্যও ইন্ডিয়া জোট বলে এক জোট আদৌ আছে বা তৈরি হয়েছিল তা বোঝা যায়নি। ফলাফল বের হওয়ার পরে হুঁশ ফিরেছে? তা খানিকটা ফিরেছে বইকী। দু’ দিনের মাথায় তড়িঘড়ি ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকে ফেলল কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে জেডিইউ, সমাজবাদী দল বা ঝাড়খণ্ড পার্টির নেতারা জানিয়ে দিলেন, আচমকা জ্ঞান ফিরে মিষ্টি খাব বলে চ্যাঁচালেই মিষ্টি পাওয়া যায় না। অতএব বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বৈঠকের ডেট রিশিডিউল করা হল, মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে বিরোধী দল বিশেষ করে কংগ্রেস বড় ভূমিকা নিল। রাহুল গান্ধী মমতাকে নিজে ফোন করে কথা বললেন, অন্যান্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বললেন। মানে কংগ্রেস বুঝেছে লড়তে হলে জোট জরুরি, একলা লড়লে হার অনিবার্য। পরের দায় অবশ্যই কমিউনিস্টদের যাঁদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটা সন্ধিক্ষণেও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইতিহাস নেই। তাঁরা বোঝেন, ভুল স্বীকারও করেন, আত্মসমালোচনাও করেন কিন্তু ততদিনে ভুল হয়ে গেছে, সেই ভুলের মাশুল তাঁদের শুধু নয় সবাইকেই দিতে হচ্ছে, সেই তাঁরা এখনও এই জোটের স্বরূপই বুঝে ওঠেননি। তাঁরা এই জোটকে নির্বাচনী জোট হিসেবে দেখতে নারাজ। হচ্ছে সংসদীয় নির্বাচনকে সঙ্গে রেখে এক রাজনৈতিক জোট, কিন্তু তা নাকি আসনের ভাগাভাগি ছাড়াই হবে, তা নাকি সারা দেশে একেক জায়গায় একেক রকম হবে, তা নাকি রাজ্য বিশেষে পাল্টে পাল্টে যাবে।

আরও পড়ুন: গণতন্ত্র আর সংবিধান দুইই বিপন্ন   

সমস্যা হল, তাঁদের আপাতত একমাত্র দুর্গে লড়াইটা কংগ্রেসের সঙ্গে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় কংগ্রেসকে বিজেপির বি টিম বলছেন, বিজেপি আর কংগ্রেসের সঙ্গে নাকি গোপন আঁতাঁত আছে। ঠিক উল্টো আমাদের বাংলায়, এখানে সিপিএম সমেত বামফ্রন্টের দলগুলোর প্রচার হল তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে আঁতাঁত আছে তাই তাঁরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। সদ্য হয়ে যাওয়া নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়েছেন তেলঙ্গানা, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে। যে কংগ্রেস কেরলে বিজেপির সঙ্গে তলায় হাত মিলিয়েছে, সেই কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলায় জোট। যে তৃণমূল বিজেপির বি টিম সেই বি টিমের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বসছেন দলনেতা সীতারাম ইয়েচুরি। এক বিভ্রান্তির পাঠশালা খুলে বসেছেন তাঁরা, একে ভ্রান্তিবিলাস বললেও কম বলা হয়। ওদিকে কেরলে সেই বাম বিপ্লবী জোটের সঙ্গে এখনও আছে দেবেগৌড়ার জেডিএস। কেবল আছেই নয়, জেডিএস-এর একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীও আছেন, যাঁরা কর্নাটকে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। এনডিএ-তে যোগ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন। এমনও নয় যে কেরলের ওই জেডিএস নিজেদেরকে আলাদা দল হিসেবে ঘোষণা করেছেন বা তাঁরা দল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। না তাও নয়, একদিকে তাঁদের দল এনডিএ-র শরিক, তাঁদের নেতা দেবেগৌড়া এবার এনডিএ-র হয়েই নির্বাচনে লড়বেন এদিকে তাঁরাই কেরলে বাম গণতান্ত্রিক জোটেও আছেন, মন্ত্রীও হয়েছেন। কেরলে আরএসপি কংগ্রেসের সঙ্গে আছে, তেলঙ্গানাতে সিপিআই কংগ্রেসের সঙ্গে আছে, সিপিএম বিরোধিতায়। এই ইত্যাকার স্ববিরোধিতা নিয়ে কমিউনিস্টরা এই ইন্ডিয়া জোটের আরেক নড়বড়ে খুঁটি।

সমাজতন্ত্রীদের মধ্যে কংগ্রেসকে উপেক্ষা করার পুরনো ইতিহাস, তাঁরা তো কংগ্রেস বিরোধিতা থেকেই উঠে এসেছেন। উত্তরপ্রদেশে একবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার পরে সমাজবাদী দল বুঝেছে তারা জোট করলেও তলার ভোটারেরা সেই জোট মেনে নিচ্ছেন না, ভোট ট্রান্সফার হচ্ছে না। বিহারে আরজেডি জানে কংগ্রেস তাদের বোঝা, গতবার বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কংগ্রেস আসন রফার সময়ে অত বেশি আসন না নিলে সেদিনই বিজেপি মহাগঠবন্ধনের কাছে হেরে যেত। নীতীশকুমারের জেডিইউ রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই লড়ছে কিন্তু নীতীশকুমারের উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথাও সবাই জানে। এরপরের নড়বড়ে খুঁটি ছিল আপ, কারণ তাঁদের উত্থানই হয়েছে কংগ্রেসের হারের বিনিময়ে। তারা দিল্লিতে কংগ্রেসকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে, পঞ্জাবে কংগ্রেসকে হারিয়েছে, গুজরাতে তাদের উত্থান ওই কংগ্রেসের ভোটের বিনিময়ে, কাজেই তারা কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় নামবে এটাই ছিল অকল্পনীয়। কিন্তু মোদিজি সহায়, আপ-এর উপর যে ভাবে ইডি-সিবিআই নেমে পড়েছে, তাতে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে হয় জোটে আসতে হবে না হলে সারেন্ডার করতে হবে। তারা জোটে আসাটাকে বেছেছেন কিন্তু কতটা ছেড়ে খেলবেন সেটা দেখার। মহারাষ্ট্রে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে অংশ বা শরদ পাওয়ারের হাতে থাকা বচাকুচা এনসিপির জোটের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই, তাঁরা আছেন, না থাকলে নিজেরাই উবে যাবেন।

ঝাড়খণ্ডে সিবিআই আর ইডির ঠেলায় অতিষ্ঠ ঝাড়খণ্ড পার্টি জোটে আছে, কতদিন থাকবে সেটাই দেখার। এবং বাংলাতে তৃণমূল, রাজ্যে রাজনৈতিক মেরুকরণই তাদের ভরসা, দলের দুর্নীতি, নেতাদের হাজতবাস ইত্যাদির সামনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটব্যাঙ্ক এখনও অক্ষুণ্ণ কারণ রাজ্যে হয় বিজেপি নয় তৃণমূল গোছের এক বাইনারি তৈরি হয়ে আছে। এবং সেই বাইনারিটাকেই ধরে রাখার জন্য হাজার ইডি আর সিবিআই লেলিয়ে দেওয়ার পরেও, প্রায় পুরো শিক্ষা দফতরকে জেলে পুরে দেওয়ার পরেও, দলের শীর্ষনেতাদের জেলে রেখে দেওয়ার পরেও তীব্র ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করছেন তৃণমূল নেত্রী বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের ভিতরে সেই সঙ্গতে ছিলেন মহুয়া মৈত্র, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায় বা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা জানেন, তৃণমূল জানে, এই হয় তৃণমূল নয় বিজেপি বাইনারি যত স্ট্রং হবে তত তাঁদের জেতার চান্স বাড়বে। তাহলে ইন্ডিয়া জোটে তাঁদের স্বার্থটা কী? প্রথমত, এই জোটের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় রাজনীতির দিকে নজর আছে। তাঁরা মেঘালয় বা অসমের মতো রাজ্যে কয়েকটা আসন ইন্ডিয়া জোটের হয়ে লড়তে পারেন। দ্বিতীয়ত এই জোটের সুবাদে কংগ্রেসের সঙ্গে এই রাজ্যে বোঝাপড়া হলে মুসলমান ভোটের সামান্য হলেও ক্ষয় যা হচ্ছে তাকে আটকানো যাবে এবং সিপিএমকে আরও বিচ্ছিন্ন করা যাবে। তৃতীয়ত মমতা জানেন, এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একা থাকলে বাঘে খাবে, কাজেই ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মমতা সিরিয়াস কেবল নয় তিনিই শুরু থেকে আসন সমঝোতার জন্য জোরাজুরি করছেন, যা আগামী বৈঠকে আরও সঠিক আকার নেবে বলেই মনে হয়। রইল বাকি দেশের বাকি বাম গণতান্ত্রিক, উদার গণতান্ত্রিক ছোট ছোট গোষ্ঠী আর ব্যক্তিত্ব, তাঁরা সমূহ বিপদের সামনে এই জোটকে খুব তাড়াতাড়ি এক নির্বাচনী জোট হিসেবে দেখতে চায়। চায় বলেই তাঁরাও বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ফোরাম ইত্যাদি তৈরি করে প্রচার চালাচ্ছেন। সব মিলিয়ে অনেক দেরি হয়েছে কিন্তু বেটার লেট দ্যান নেভার কথাটা মাথায় রেখে বিরোধী ঐক্যের সুর আবার শোনা যাচ্ছে, ১৯ এর বৈঠকের পরে সেই ঐক্যের রূপরেখা স্পষ্ট হবে। আর সেটা সবথেকে ভালো জানেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি, তাই তিন রাজ্যে কংগ্রেসকে হারিয়ে তিনি ইন্ডিয়া জোটের হারের কথা বলছেন। তিনি ইন্ডিয়া জোটের কথা বলছেন, তিনি জানেন এই জোট কাজ করলে কংগ্রেসমুক্ত ভারতের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Iran | 'অনেকদিন ধরেই ইরানে হা/মলার ছক কষছে ইজরায়েল' জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
01:08:05
Video thumbnail
Iran-Israel | মধ্যপ্রাচ্যের মহাযু/দ্ধে মহানবমী, কী অবস্থা হয়েছে ইরান-ইজরায়েলের?
01:00:05
Video thumbnail
Israel | তেল আভিভের অবস্থা ঠিক কেমন? জেনে নিন সেখানকার বাঙালি পড়ুয়ার থেকে
02:13:50
Video thumbnail
SSC Update | এবার পুরোনো চাকরিতে ফিরতে বড়সড় পদক্ষেপ, দেখুন বড় আপডেট
01:22:11
Video thumbnail
Israel | ছারখার ইজরায়েলে এখন কী অবস্থা? শুনুন ইজরায়েলে থাকা বাঙালি পড়ুয়ার কথা সরাসরি কলকাতা টিভিতে
03:18:31
Video thumbnail
Israel | ছারখার তেল আভিভ, মিসা/ইল হা/মলা, ইজরায়েল থেকে সরাসরি জানালেন বাঙালি পড়ুয়া অনিরুদ্ধ বেরা
03:44:06
Video thumbnail
Karnataka | চিন্নাস্বামী দু/র্ঘটনার পর ভিড় নিয়ন্ত্রণে নয়া বিল কর্ণাটক সরকারের, কী এই আইন?
53:35
Video thumbnail
Bengal Tourism | বিদেশি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় বাংলা, জানেন কত নম্বরে আছে? চমকে উঠবেন
02:47:30
Video thumbnail
Donald Trump | ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়ার প্রস্তাব পাকিস্তানের, প্রতিবাদ করবে বিশ্ব?
01:35:31
Video thumbnail
Cyber Security | পাসওয়ার্ড ফাঁ/স হল কীভাবে? দেখুন এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় খবর
50:36