সিরিয়া: আবু ইব্রাহিম অল-হাশিমিনি অল-কুরেশি (Abu Ibrahim al-Hashimi al-Qurashi)৷ বিশ্বজুড়ে ত্রাস ফেলে দেওয়া জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রধান (ISIS Chief Blows Himself) মার্কিন সেনার হাতে ধরা পড়ার ভয়ে নিজেকে শেষ করে দিল৷ খবর পাওয়া মাত্র হোয়াটই হাউস থেকে বিবৃতি দিয়ে গোপন অভিযান সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব মার্কিন সেনাবাহিনীকে দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (American President Joe Biden)৷ জানান, মার্কিন সেনার জন্যই আইএস প্রধান আবু ইব্রাহিম মারা গিয়েছে৷ পরে তিনি একটি টুইটও করেন৷ সেখানে তিনি লেখেন, ‘গতরাতের অভিযানে প্রমাণিত জঙ্গিরা বিশ্বের যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন তাদের খুঁজে বের করে আনতে সমর্থ মার্কিন সেনা’
Last night’s operation is a testament to America’s reach and capability to take out terrorist threats — no matter where they try to hide in the world.
I am determined to protect the American people from terrorist threats, and I will take decisive action to protect this country.
— President Biden (@POTUS) February 3, 2022
২০১৯ সালে ঠিক একই কায়দায় মারা যায় আবু ইব্রাহিমের পূর্বসূরি আবু বকর-আল বাগদাদি৷ সেই বার সিরিয়ার ইডলিব এলাকায় অভিযানে নেমেছিল মার্কিন সেনা৷ তিন বছরের মাথায় বাগদাদির উত্তরসূরিরও প্রাণ গেল৷ মার্কিন সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার আকাশপথ দিয়ে সিরিয়ার উত্তর পশ্চিমে এলাকায় অভিযান শুরু করেছিল স্পেশ্যাল ফোর্স৷ খবর ছিল, আতমে শহরে লুকিয়ে আছে আবু ইব্রাহিম৷ মার্কিন সেনা সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে৷ ততক্ষণে ঘরের সামনে মার্কিন সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে যায় আইএস প্রধান৷ ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচতে বিস্ফোরকের সাহায্যে নিজেকে উড়িয়ে দেয়৷ তার আগে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলে আবু ইব্রাহিম৷ নিহতদের মধ্যে রয়েছে কয়েকজন মহিলা এবং শিশুও৷ আবু ইব্রাহিমের মৃত্যু নিয়ে আইএস কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি৷ তবে খবর সত্যি হলে নিঃসন্দেহে আইএস জঙ্গি সংগঠনের কাছে বড় ধাক্কা৷
২০১৯ সালের অক্টোবরে মার্কিন হানায় বাগদাদির মৃত্যুতে কুরদিশ বাহিনী বড় ভূমিকা নিয়েছিল৷ এবারের অভিযানেও তারা মার্কিন সেনার সঙ্গী হয়৷ কুরদিশ নিয়ন্ত্রিত বায়ুসেনা থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযান শুরু করে মার্কিন সেনা৷ আইএস প্রধান হওয়ার পর মার্কিন প্রশাসন আবু ইব্রাহিমকে বিশ্বের অন্যতম মোস্ট ওয়াটেন্ড জঙ্গি বলে ঘোষণা করে৷ তার মাথার দাম রাখে ১০ মিলিয়ন ডলার৷ সেই ইব্রাহিম মার্কিন সেনার ভয়ে সিরিয়ার আটমে শহরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল৷
আরও পড়ুন: Press Club Election: প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে দুই সাংবাদিক গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ৫
সেই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, সে এখানে গত ১১ মাস ধরে স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে থাকছিল৷ খুবই সাধারণ জীবনযাপন করত৷ মাসের শেষে বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে চলে যেত৷ এক বিধবা বোন এবং তার মেয়ে সঙ্গেও থাকত৷ ওদের জীবনযাত্রায় সন্দেহজনক কিছুই চোখে পড়েনি বাড়ি মালিকের৷ তারপর বৃহস্পতিবার হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তিনি৷ পরে জানতে পারেন, ভাড়াটে হিসেবে যে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল সে আসলে আইএস প্রধান আবু ইব্রাহিম৷ এদিকে মার্কিন সেনার এদিনের অভিযানে অন্তত ১৩ জন সিরিয়ার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷