লখনউ: ৫৮টি আসনের মধ্যে ক’টা যাবে বিজেপির ঝুলিতে? কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরেও কৃষক ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির অটুট থাকবে কি? পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সপা-আরএলডির জোট কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে গেরুয়া বাহিনীকে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly election 2022)৷
বৃহস্পতিবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোট৷ এই দফায় পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ১১টি জেলার মোট ৫৮টি কেন্দ্রে ভোট হবে৷ পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে এই ৫৮টির মধ্যে ৫৩টি আসনে জয়ী হয়ে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা দখলের রাস্তা অনেকটাই মসৃণ করে নিয়েছিল বিজেপি৷ সেবার বিএসপি এবং সপা পেয়েছিল ২টি করে মোট চারটি আসন৷ নির্দল পেয়েছিল একটি আসন৷ এবারও কি তেমন কিছুরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে? রাজনৈতিক মহল বলছে, মুশকিল আছে৷ কেননা কেন্দ্রের বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছিল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকের একটা বড় অংশ৷ তাদের আন্দোলনের চাপে কেন্দ্র আইন প্রত্যাহার করে নিলেও কৃষকদের মন থেকে মুছে যায়নি লখিমপুরের ঘটনা৷ সব মিলিয়ে কৃষকদের ভোট নিয়ে চিন্তায় বিজেপি৷
হিন্দু বলয়ের এই রাজ্যে রাজনীতি চলে জাত-পাতের অঙ্কে৷ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের এই অঞ্চলটি মূলত জাঠ অধ্যুষিত৷ তাদের কাছে পেতে সব দলই জাঠদের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী করেছে৷ বিজেপি যেমন ১৭ জন জাঠকে প্রার্থী করেছে৷ বিরোধী সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোক দল প্রার্থী করেছে যথাক্রমে ১২ এবং ৬ জন জাঠকে৷ তবে সব দলের প্রার্থিতালিকায় দাগী-অপরাধীদের ছড়াছড়ি৷ দেখা গিয়েছে, প্রথম দফায় ১৫৭ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে৷ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো গুরুতর মামলাও চলছে৷ সমাজবাদী পার্টি সবথেকে বেশি বিভিন্ন ফৌজদারি ধারায় অভিযুক্তদের প্রার্থী করেছে৷
আরও পড়ুন: PM Modi: যোগী জমানায় রাতের বেলাতেও মেয়েরা বাইরে বেরতে পারে: মোদি
প্রথম দফার ভোটে ৬২৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ২.২৭ কোটি মানুষ৷ রাজ্যের ৯ জন মন্ত্রীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে এদিনই৷ ভোট শুরু হবে সকাল ৭টায়৷ শেষ হবে সন্ধে ৬টায়৷ এই ৫৮টি আসনের মধ্যে আলাদা করে নজর কাড়ছে মথুরা, থানা ভবন, মুজফফরনগর, কাইরান, হাপুর, গৌতম বুদ্ধ নগর, বুলন্দশহর, আলিগড়, আগ্রা, নয়ডা, ফতেপুর সিক্রি, ফতেহবাদ, শামলি, গাজিয়াবাদ, মেরঠ, বাঘপতের মতো কেন্দ্রগুলি৷ সাতদফার নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে ভোট শেষ হবে ৭ মার্চ৷ ১০ মার্চ ভোট গণনা৷ তবে ৭ মার্চ ভোট পর্ব মিটলেই বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল শুরু হয়ে যাবে৷ তখনই বোঝা যাবে ২০২২-এ লখনউ কার দখলে?