জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের (Jayanta Roy) বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল। এমনকি তাঁর নামে দায়ের করা হল লিখিত অভিযোগও। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংসদ জয়ন্ত রায়।
রাজ্যের চার পুরসভায় নির্বাচন (WB Municipal Election )চলছে। এর মধ্যেই ভোট পরিস্থিতি দেখতে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের স্পেশাল ক্যাডার প্রাইমারি স্কুলের বুথের কাছের রাস্তায় গিয়েছিলেন সাংসদ জয়ন্ত রায়। ভোটের সময় ছাড়া সাংসদের দেখা মেলে না, এই অভিযোগে মহিলারা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এবং সাংসদকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, সাংসদ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট কৃষ্ণদেব অধিকারী তাঁর বিরুদ্ধে নিউজলপাইগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, শিলিগুড়ি পুরসভায় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী অর্পিতা দাসকে ভোট দেওয়ার জন্য সাংসদ ভোটারদের আবেদন করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
চার পুরসভার মোট ওয়ার্ড ২১৭টি। সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ড রয়েছে আসানসোলে, ১০৬টি। এছাড়াও শিলিগুড়িতে ৪৭, বিধাননগরে ৪১ এবং চন্দননগরে ৩৩টি। মোট ভোটার ১৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৬২ জন। প্রত্যেক পুরনিগমের জন্য ৪ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং ১ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক রয়েছেন। নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি বুথের ভিতরে এবং বাইরে চলছে সিসিটিভির নজরদারি।
আরও পড়ুন- Ashok Bhattacharya: চোখে জল, স্ত্রীকে ছাড়া ভোট দিতে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন অশোক ভট্টাচার্য
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, চার পুরনিগমের ভোটের জন্য ৯ হাজার পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে রয়েছে ৮ হাজার ৫০০ পুলিস। বাকি ৫০০ পুলিসকর্মীকে নাকা চেকিং-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, সশস্ত্র পুলিস রয়েছে ৫ হাজার ৫৫৭ জন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই সশস্ত্র প্রহরী এবং লাঠিধারী কনস্টেবল রয়েছেন। ৪ পুরসভার ২০৭৮টি বুথই স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে কমিশন।