ওয়াশিংটন ডিসি: রাশিয়া ইউক্রেনের (Russia to invade Ukraine) দখল নিলে সেখানে রক্তের স্রোত বইয়ে দেবে৷ অকথ্য নির্যাতন করা হবে ইউক্রেনীয়দের উপর৷ অনেকের হয়তো আর হদিস মিলতে নাও পারে৷ এককথায় ইউক্রেনের দখল নেওয়ার পর সেখানকার নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে ক্রেমলিন৷ এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপুঞ্জকে (America wrote United Nations) চিঠি দিয়েছে আমেরিকা৷ চিঠিতে মার্কিন প্রশাসনের চাঞ্চল্যকর দাবি, ইউক্রেন দখলের পর কাদের খুন করা হবে তার তালিকা বানিয়েছে মস্কো (Russia has a list of Ukrainians)৷ শুধু তাই নয়, কোন কোন ইউক্রেনীয়কে ক্যাম্পে রাখা হবে সেই তালিকাও তৈরি৷
মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর একটি প্রতিবেদনের পরই বিষয়টি সামনে এসেছে৷ রাশিয়া যে ইউক্রেন দখলে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে তা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলিকে সতর্ক করছিল হোয়াইট হাউস৷ জানিয়েছিল, কোনও একটা অজুহাতে যে কোনও সময় ইউক্রেনে হামলা করবে রাশিয়া৷ রাষ্ট্রপুঞ্জকে লেখা চিঠিতে আমেরিকা জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে রাশিয়া৷ রাষ্ট্রপু্ঞ্জের মার্কিন প্রতিনিধি বাথশেবা ক্রুকার চিঠিতে লিখেছেন, ‘সম্প্রতি উদ্বেগজনক যে তথ্য আমরা পেয়েছি সেটা আপনার গোচরে এনে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই৷ আমরা জানতে পেরেছি, আক্রমণের পর সেখানকার মানুষদের মানবাধিকার হরণ এবং নির্যাতনের পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ যাঁরা রাশিয়ার কাজের বিরোধিতা করবে তাঁদের খুন, অপহরণ, বিনা কারণে আটক, অকথ্য নির্যাতন এবং নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে৷ অতীতেও রাশিয়ার নানা অভিযানে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে৷’
রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনের রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং সংখ্যালঘুদের মতো স্পর্শকাতর সম্প্রদায়কে তাদের নিশানা বানিয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে৷ রবিবার রাতে সেই চিঠি রাষ্ট্রপুঞ্জের সুইৎজারল্যান্ডের মানবাধিকার অফিস পৌঁছয়৷ রাশিয়ার তরফে আমেরিকার চিঠির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ যদিও রাশিয়া প্রথম থেকে বারবার দাবি জানিয়ে এসেছে, ইউক্রেন দখলের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই৷ পশ্চিমি মিডিয়া ‘ভিত্তিহীন হিস্টিরিয়া’ ছড়াচ্ছে৷
আরও পড়ুন: Joe Biden-Vladimir Putin: ইউক্রেন সঙ্কট মেটাতে সাক্ষাতে রাজি বাইডেন-পুতিন