স্বস্তি আর আস্থা বেড়েই চলেছে। শ্রেয়স আয়ারকে ঘিরে। স্বস্তি আর আস্থা – পাচ্ছে ভারতীয় দল আর কেকেআর। সত্যিই স্বপ্নের ফর্মের মধ্যে দিয়ে চলেছেন শ্রেয়স আইয়ার। আরও একটা টেস্ট। আরও একবার ব্যাট হাতে দলের জন্য সময়মতো জ্বলে ওঠা। কেকেআরের নতুন অধিনায়ক বেঙ্গালুরুর জটিল জমিতে প্ৰথম ইনিংসে ৯২ করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও দাপটের সঙ্গে করে দেখিয়েছেন ৬৭ রান। এরই সঙ্গে নতুন কীর্তির মালিকও হয়ে উঠলেন তিনি।
প্ৰথমবার দিন – রাতের টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছেন তিনি। পিঙ্ক বলের টেস্টে আবির্ভাবেই দুই ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করার এক বিরল কীর্তি গড়লেন তিনি। এর আগে এমন নজির আর কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের নেই। সবমিলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে এমন দারুণ রেকর্ডের মালিক মাত্র চারজন। শ্রেয়স আইয়ার এই তালিকায় নবতম সংযোজন।
This is all of us right now! ?
? BCCI @sagarcasm | #ShreyasIyer #INDvSL #CricketTwitter pic.twitter.com/DCfwQwSUpF
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) March 13, 2022
গোলাপি বলের টেস্টের পরিসংখ্যান এখন আলাদা করে মাপা হয়। এর আগে একই টেস্টের দুই ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব আছে ড্যারেন ব্র্যাভো (২০১৬-তে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে ৮৭ আর ১১৬)। , অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ (পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে ব্রিসবেনে ১৩০ এবং ৬৩) এবং মার্নাস লাবুশানের। লাবুশানে একমাত্র ব্যাটার হিসাবে এই কীর্তি দু’বার গড়ে ফেলেছেন- ২০১৯ সালে পার্থ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৪৩, ৫০ এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২১ সালে ১০৩ এবং ৫১।
ভারত – শ্রীলঙ্কা ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শ্রেয়স আইয়ারের ৯৮ বলে ৯২ রানের ইনিংস ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় আটকে পৌঁছে দিয়েছিল ২৫২ তে। অল্পের জন্য নড়বড়ে নব্বইয়ে থেকে শতরান হাতছাড়া হয়ে তারকার। তিনি রবিবার খেলার শেষে বলেছেন, “এই ইনিংসটি খেলেই সেঞ্চুরি করার আনন্দ পেয়েছি। এই হাফসেঞ্চুরি শতরানের মতই গুরুত্ত্বপূর্ন আমার কাছে। এই কারণেই এরকমভাবে সেলিব্রেট করেছিলাম। শতরানের আনন্দই দিয়েছে এই ইনিংসটি।”
“সকলেই দেখেছেন কীভাবে ব্যাটসম্যানরা এই পিচে রক্ষণাত্মক মেজাজে সতর্ক হয়ে ব্যাট করছিল। কানায় লাগার সুযোগ তো ছিলই, সেইসঙ্গে পিচের অসমান বাউন্সও সারাক্ষণ সমস্যায় ফেলছিল। এমন পিচে নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করে উইকেটে টিকে যাওয়া সম্ভব ছিল না। মাঠে নামার পর পজিটিভ মানসিকতা দেখাতে হতো। উইকেট মোটেই ব্যাটিং সহায়ক নয়। বরঞ্চ পিচ বোলিং সহায়ক বলা যেতে পারে।”
প্ৰথম ইনিংসে ভারত ২৫২ তোলার পরে শ্রীলঙ্কার ইনিংস গুটিয়ে যায় ১০৯ রানে। বুমরা একাই তুলে নেন বিপক্ষের ৫ উইকেট । ১৪৩ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৩০৩/৯-এ ডিক্লেয়ার করে দিয়েছে। জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার সামনে টার্গেট ৪৪৭ রান। তারপর দ্বিতীয় দিনের শেষে লঙ্কা বাহিনীর সংগ্রহ
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২৫২/১০, ৩০৩/৯ (ডিক্লেয়ার)
শ্রীলঙ্কা: ১০৯/১০, ২৭/১ (৭ ওভার)