ঝালদা, ৮ এপ্রিল : ঝালদা খুনের ঘটনায় সিটের হেফাজতে থাকা ৩ অভিযুক্ত নরেন কান্দু, আসিফ খান ও কলেবর সিংকে আজ জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গত ২ তারিখ ঝালদা খুনের ঘটনায় সিট এই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে নিহত তপন কান্দুর (Tapan Kandu) দাদা নরেন কান্দু, আসিফ খান ও কলেবর সিং। আদালত তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। যেহেতু এই মামলার তদন্তভার সিবিআই নিয়েছে। সিট আর এই তদন্ত করবে না তাই অভিযুক্তদের জেলা আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই মামলার আরও এক অভিযুক্ত বর্তমানে নিহত তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু বর্তমানে জেল হেফাজতেই আছে।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
তপন কান্দুকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতরা হল নিহত তপনের ভাইপো দীপক কান্দু, দাদা নরেন কান্দু, কলেবর সিং এবং মহম্মদ আসিফ খান। পুলিস সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে তপন কান্দু ও তাঁর দাদা নরেন কান্দুর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ ছিল। কয়েক বছর আগে থেকেই ভাইকে হত্যার ছক কষছিল নরেন। ভাইকে খুনের জন্য ৭ লক্ষ টাকার সুপারি দেয় নরেন কান্দু, এমনটাই দাবি করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন : Tapan Kandu Murder CBI: তপন কান্দু হত্যার কেস ডায়েরি নিল সিবিআই