লখনউ: নিরাপরাধ যুবককে লক আপে আটকে রেখে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে যোগী রাজ্যের পাঁচ পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, ওই যুবকের মলদ্বারে লাঠি ঢুকিয়ে ভয়াবহ অত্যাচার করে তারা৷ তারপর বৈদ্যুতিক শক দেয়৷ পুলিসের মারে গুরুতর জখম ওই যুবককে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছেলেটি ঘন ঘন খিঁচুনি টানছে৷ তাঁর স্নায়ুতে গভীর সমস্যা দেখা গিয়েছে৷ সেটা সম্ভবত বৈদ্যুতিক শকের জন্য হয়েছে৷ এদিকে নির্যাতিত যুবকের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পাঁচ পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ৷ প্রাথমিক তদন্তে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে সত্যতা খুঁজে পেয়েছে জেলা পুলিস৷ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিস সুপার৷
কুখ্যাত গ্যাংস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এই সন্দেহে গত ২ মে সবজি বিক্রেতা ওই যুবককে আলাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিস৷ পরিবারের অভিযোগ, থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিস সারা রাত তাঁর উপর অত্যাচার করে৷ পরে তারা বুঝতে পারে ভুল ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে৷ তখন তাঁর হাতে ১০০ টাকা গুঁজে দু’দিন পর বাড়ি পাঠিয়ে দেয়৷ তারপর থেকে সে অস্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করেছে৷ মাঝেমধ্যে জ্ঞানও হারিয়ে ফেলছে৷ শুক্রবার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়াতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক শকের কারণে ওই যুবকের স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে৷
জেলার পুলিস সুপার প্রবীন সিং চৌহান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পাঁচ পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে সত্যতা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে৷ পরবর্তীকালে সকলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে এবং নিরপেক্ষ তদন্ত হবে৷ পুলিস ওই পরিবারের পাশে আছে৷ যুবকের চিকিৎসায় যতদূর সম্ভব সাহায্য করা হবে৷