কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বরিস জনসনের ইস্তফা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্যে নারাজ ভারত সরকার। তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, আমরা কোনও মন্তব্য করছি না। এটা ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বরিস জনসনের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল। দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারী রয়েছে অনেক দিন ধরে। আমরা আশা করি, সেই অংশীদারীর সম্পর্ক ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।
ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে এদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বরিস জনসন। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর মন্ত্রিসভায় ডামাডোল চলছে। গত দুদিনে প্রায় ৪০ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেন। তাঁর পদত্যাগের দাবিও জোরালো হয়। যদিও বুধবার পর্যন্ত তিনি বলে আসছিলেন, ইস্তফার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। অবশেষে বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার সকালেই পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির দলনেতা হিসেবে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বরিস জনসন। ‘সম্মানজনক ইস্তফা’র প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে, এক প্রবীণ মন্ত্রীকে বুধবার রাতেই বরখাস্ত করেন বরিস জনসন। একদা বরিসের ঘনিষ্ঠ কমিউনিটিজ সচিব মিশেল গোভকে ক্যাবিনেট থেকে এককথায় বরখাস্ত করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট প্রস্তাবের প্রচারে গোভই ছিলেন বরিস জনসনের ডানহাত। তাঁর অপরাধ, তিনি মেসেজ করে জনসনকে ইস্তফা দিতে বলেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় ব্যক্তিগত সচিব জেমস ডাডরিজ জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা না-দেওয়ার গোঁ ধরে বসে রয়েছেন। তবে, দেশের বাজারদর সামাল দিতে আগামী সপ্তাহেই জনসন নতুন একটি পরিকল্পনা আনছেন বলে জানান তিনি। সংসার চালাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত ব্রিটিশ নাগরিকদের তাতে কিছু সুরাহা হবে বলে তাঁর অভিমত ছিল। কিন্তু তার আগেই বরিস জমানার ইতি ঘটতে চলেছে।