কলকাতা: আবারও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ রাজ্যে। গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, শিক্ষক, ফায়ার অপারেটর, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই নতুন দুর্নীতির অভিযোগ। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে নিয়োগে ব্যাপক কারচুপি-স্বজনপোষণের অভিযোগ। ৫ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। প্রার্থীদের না জানিয়েই ২৮০০ শূন্যপদে নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে দাবি আবেদনকারীদের। আবেদনপত্র জমা করেও ইন্টারভিউয়ে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরে চুক্তিভিত্তিক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, কনসালট্যান্ট এবং জুনিয়র কনসালট্যান্ট-এর মতো অস্থায়ী পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। এই বিষয়ে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। টাকার বিনিময়ে চাকরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওয়েবেল’-কে। অভিযোগ, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও নিয়মই মানেনি দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও মানা হয়নি বলে অভিযোগ। পর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন না দেওয়ার অভিযোগ। কোনও লিখিত পরীক্ষা না নেওয়ার অভিযোগ।
বয়সসীমার পাশাপাশি যোগ্যতামান নির্দিষ্ট না করার অভিযোগ। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বেআইনি বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়। মামলাকারীদের প্রশ্ন, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই কীভাবে ইন্টারভিউ নেওয়া হল? সমস্ত চাকরি বাতিলের দাবি তুলেছেন তাঁরা। নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর দাবি উঠেছে। অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। তিন সপ্তাহের মধ্যে ওয়েবেলের জবাব তলব প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
আমজনতার সুবিধার্থে পশ্চিমবঙ্গের নানা প্রান্তে মোট ৩৫৬১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (বিএসকে) খুলেছে রাজ্য সরকার। অনলাইনে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের যাবতীয় কাজ এই কেন্দ্রগুলিতে হয়। মূলত তৃণমূল স্তরের মানুষকে পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি দফতরে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলাশাসকের অফিস, মহকুমাশাসক ও বিডিওর অফিস ছাড়াও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি গ্রন্থাগার, স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয় সহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে এই কেন্দ্র রয়েছে।
বর্তমানে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে ১৮টি দফতরের মোট ২৬৭টি পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৭২টি ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তথ্য প্রদান করা হয়। বাকি ১৯৫টি ক্ষেত্রে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে দেওয়া হয়। রাজ্যের কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার এবং ই-গভর্নেন্স বিভাগ বাংলা সহায়তা কেন্দ্র প্রজেক্টের নোডাল দফতর। রাজ্য স্তরে একটি প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট (পিএমইউ) রয়েছে, যা বিএসকেগুলির প্রতিদিনের কাজকর্ম দেখাশোনা করে।