কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: চীনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ। যার সাক্ষী থাকল গোটা দুনিয়া। চীনের উৎক্ষেপণ করা লংমার্চ ৫বি রকেট ভারত মহাসাগরের বুকে ভেঙে পড়েছে। শনিবার এই ঘটনা ঘটলেও বেজিং এখনও পর্যন্ত কাউকে এই খবর জানায়নি বলে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (NASA) দাবি। নাসা বলেছে, চীন তো দুর্ঘটনার কথা কাউকে জানায়নি, উপরন্তু কোথায় রকেটের ধ্বংসাবশেষ পড়তে পারে, সে সম্পর্কেও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে।
শনিবার মধ্যরাত নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎই দেখা যায়, রাতের আকাশে আতসবাজির মতো আলোর ফুলকি। সেটা যত পৃথিবীর মাটির কাছে আসতে থাকে, ততই মনে হয় বুঝি আচমকাই উল্কাপাত হচ্ছে। রাতেই এশিয়াবাসী বেশ কিছু মানুষ সমাজমাধ্যমে লাল, নীল, হলুদ, কমলা রঙের আলোর ছবি দিয়ে লেখেন উল্কাপাত হচ্ছে। আসলে ওটি ছিল বিশাল মাপের চীনা রকেট। গত রবিবার পাঠানো ওই রকেটটি মহাকাশে চরকিপাক খেয়ে পৃথিবীর দিকে ফিরছিল। কিন্তু, বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরই তার ওজনের কারণে সেটি ভেঙে পড়ে ভারত মহাসাগরের উপরে। যতদূর জানা যাচ্ছে, সেটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের কাছাকাছি পড়েছে। তবে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রকেটটি পুরোপুরি ছাই হয়ে যায়নি। সমুদ্রে তার টুকরো মিলতে পারে।
আরও পড়ুন: Sanjay Raut: শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা
সিএনএনের খবর অনুযায়ী, ২৪ জুলাই রকেটটি পাঠায় চীন। এর কাজ ছিল মহাকাশে তাদের গবেষণা সংস্থায় নতুন একটি যন্ত্র স্থাপন করে ফিরে আসা। রকেটটি সাফল্যের সঙ্গে সেই কাজ করে পৃথিবীর বুকে ফিরছিল। কিন্তু, সেই সময়ই বিপত্তি ঘটে। আমেরিকার অভিযোগ, এই নিয়ে তৃতীয়বার চীন রকেট ধ্বংসাবশেষের বিষয়ে বিধিভঙ্গ করল। নাসা এই কাজের সমালোচনা করে বলেছে, মহাকাশে যারাই রকেট পাঠাক না কেন, পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার যাবতীয় তথ্য সকলকে জানানোটাই রীতি। রকেটটি কোথায় এসে নামবে, তার ওজন কত, তা কতটা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর, ইত্যাদি তথ্য জানানো হয়নি। এইভাবে রকেট ভেঙে পড়ায় সমুদ্রের ক্ষতি তো হয়েছেই, এমনকী বহু প্রাণ ও সম্পত্তিহানিও হতে পারত।